সংস্কার এখনো শুরু হয়নি, মূলত পাঁয়তারা করা হচ্ছে: মান্না

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৬:০৯:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৭৬ বার পঠিত হয়েছে

সংস্কার এখনো শুরু হয়নি মূলত সংস্কার নিয়ে পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না।

রবিবার ৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘সংস্কার থেকে নির্বাচন কতদূর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, যতটুকু খবর পেয়েছি ১৫টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে ৬টা কমিশন তাদের ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে। এই নিয়ে চলতি মাসে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করতে চাইছেন।

দেশের জনগণের সংস্কার ফোকাস, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য ও জনগণের সম্মতিতে সংস্কার করা হবে। তারা যদি সম্মতি না দেয় তাহলে সংস্কার হবে না। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো ও অংশীজনরা এখন পর্যন্ত কয়টি সংস্কারের ব্যাপারে একমত হয়েছে? দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনাও হয়নি। জনগণও ঠিকমতো বোঝে না।

তিনি আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির ভোটকে সমর্থন করি না। ছোট দলগুলো কত শতাংশ ভোট পাবে, তারা আসন পাবে কি? পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ হয়ত স্বাভাবিকভাবে ২৫ শতাংশ ভোট পেয়ে যেতে পারে। তাহলে দেখা যাবে ৭৫টি আসন পাবে, এটা আমি চাই না।

মান্না বলেন, পরপর দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। কিন্তু এখানে প্রশ্ন আছে সবাই বলেছে পরপর দু’বার বেশি হতে পারবেন না কিন্তু একবার গ্যাপ (অবসর) দিয়ে আবার দাঁড়াতে পারবেন। এখানে আইনি ফাঁকফোকর রয়েছে। বাংলাদেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কিন্তু কতজন একমত হয়েছেন? দেশের মানুষ সংবিধান বুঝতে পারে এমনভাবে সংবিধান রচনা করতে হবে।

তিনি বলেন, যদি দেশটা গঠন না করতে পারি তাহলে এতো জীবন দিয়ে লাভ কি? জীবনদান তো বৃথা হয়ে গেলো। গত ১৫ বছর শেখ হাসিনা দেশে যে গজব তৈরি করেছিলেন। এ থেকে বের হতে না পারলে আবারও গজবের দেশ থাকবে। এখান থেকে দেশকে পরিবর্তন করার জন্য সবাই সংস্কারে একমত হয়েছি। যদি আমরা ভালো থাকতে চাই তাহলে এই পরিবর্তন দু’দিন হলেও দরকার। এজন্য অবশ্যই গুণগত সংস্কার আমাদের লাগবে।

সংস্কার এখনো শুরু হয়নি, মূলত পাঁয়তারা করা হচ্ছে: মান্না

প্রকাশ: ০৬:০৯:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সংস্কার এখনো শুরু হয়নি মূলত সংস্কার নিয়ে পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যর সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না।

রবিবার ৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘সংস্কার থেকে নির্বাচন কতদূর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, যতটুকু খবর পেয়েছি ১৫টি সংস্কার কমিশনের মধ্যে ৬টা কমিশন তাদের ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে। এই নিয়ে চলতি মাসে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করতে চাইছেন।

দেশের জনগণের সংস্কার ফোকাস, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য ও জনগণের সম্মতিতে সংস্কার করা হবে। তারা যদি সম্মতি না দেয় তাহলে সংস্কার হবে না। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো ও অংশীজনরা এখন পর্যন্ত কয়টি সংস্কারের ব্যাপারে একমত হয়েছে? দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনাও হয়নি। জনগণও ঠিকমতো বোঝে না।

তিনি আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির ভোটকে সমর্থন করি না। ছোট দলগুলো কত শতাংশ ভোট পাবে, তারা আসন পাবে কি? পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ হয়ত স্বাভাবিকভাবে ২৫ শতাংশ ভোট পেয়ে যেতে পারে। তাহলে দেখা যাবে ৭৫টি আসন পাবে, এটা আমি চাই না।

মান্না বলেন, পরপর দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। কিন্তু এখানে প্রশ্ন আছে সবাই বলেছে পরপর দু’বার বেশি হতে পারবেন না কিন্তু একবার গ্যাপ (অবসর) দিয়ে আবার দাঁড়াতে পারবেন। এখানে আইনি ফাঁকফোকর রয়েছে। বাংলাদেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কিন্তু কতজন একমত হয়েছেন? দেশের মানুষ সংবিধান বুঝতে পারে এমনভাবে সংবিধান রচনা করতে হবে।

তিনি বলেন, যদি দেশটা গঠন না করতে পারি তাহলে এতো জীবন দিয়ে লাভ কি? জীবনদান তো বৃথা হয়ে গেলো। গত ১৫ বছর শেখ হাসিনা দেশে যে গজব তৈরি করেছিলেন। এ থেকে বের হতে না পারলে আবারও গজবের দেশ থাকবে। এখান থেকে দেশকে পরিবর্তন করার জন্য সবাই সংস্কারে একমত হয়েছি। যদি আমরা ভালো থাকতে চাই তাহলে এই পরিবর্তন দু’দিন হলেও দরকার। এজন্য অবশ্যই গুণগত সংস্কার আমাদের লাগবে।