আবারও শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম কালুরঘাট সেতুতে চলাচলের জন্য যানবাহনের টোল আদায়। বুধবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে টোল আদায় কার্যক্রম শুরু করবে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মাওয়া এন্টারপ্রাইজ। এর আগে বিকেলে ইজারাদার প্রতিষ্ঠানকে সেতু বুঝিয়ে দেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ভূ সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তারা।
সন্ধ্যা ৬টায় ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের কালুরঘাট বোয়ালখালী প্রান্ত থেকে এ টোল আদায় কার্যক্রম শুরু করেন।
সেতুতে যানবাহনের জন্য নির্ধারিত টোলের পরিমাণ বাসের জন্য ১০০ টাকা, ট্রাকের জন্য ১৫০ টাকা, মাইক্রোবাস জন্য ৬০ টাকা, প্রাইভেটকার ও জিপ জন্য ৫০ টাকা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও মোটর সাইকেলের জন্য ২০ টাকা। তবে এ সেতুতে আগে মোটরসাইকেলে টোল এবার নতুন টোল নির্ধারণ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সেতু দিয়ে চলাচলকারী মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীরা।
পারভেজ নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, দুই চাকার যানে টোল নির্ধারণ করা অমানবিক। আগে কখনো এ সেতুতে টোল ছিল না। এবার নতুন টোল নির্ধারণ মানুষকে হয়রানি করছে বলে দাবি তার।
পাটাও চালক শহীদ বলেন, মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। এভাবে মোটরসাইকেলের উপর টোল নির্ধারণ করায় আমাদের জন্য দূর্বিষহ হয়ে যায়। আসা-যাওয়া ২০ টাকা টোল দেওয়া অনেক কষ্টসাধ্য।
তবে ইজারাদার প্রতিষ্ঠান মাওয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আলম ববি জানান, কালুরঘাট সেতু পারাপারে যানবাহন থেকে টোল আদায়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সেতু বুঝিয়ে দিয়েছে। যানবাহন প্রতি রেলওয়ে টোলের হার নির্ধারণ করে দিয়েছে। নির্ধারিত টোল থেকে কোনো টাকা বেশী নেওয়া হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ১ আগষ্ট থেকে কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজের জন্য যানবাহন পারাপার বন্ধ ঘোষণা করেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সেতুর সংস্কার কাজের তত্ত্বাবধানে ছিলেন বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল। প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির সংস্কার কাজ করেছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। সংস্কার কাজ শেষে গত বছরের ২৭ অক্টোবর যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয় সেতুটি। এরপর গত চারমাস ধরে বিনা টোলে যানবাহন পারাপার হয়ে আসছিলো।