ভারত সফরে চীনা বাঁধ নিয়ে আলোচনা করবেন জেক সুলিভান

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০২:১০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫
  • ১১১ বার পঠিত হয়েছে

জেক সুলিভান

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান ৫ থেকে ৬ জানুয়ারি নয়াদিল্লি সফর করবেন। তার এই সফরে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর চীনের তৈরি বাঁধগুলোর প্রভাব নিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

শুক্রবার এক শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। ওয়াশিংটন ও তার পশ্চিমা মিত্ররা দীর্ঘদিন ধরে ভারতকে এশিয়া ও এর বাইরে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের পাল্টা হিসেবে দেখে আসছে। খবর রয়টার্স।

সুলিভানের সফরের আগে যুক্তরাষ্ট্রের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিকের অনেক জায়গায় আমরা নিশ্চিতভাবে দেখেছি যে, মেকং অঞ্চলসহ চীনারা যে উজানে বাঁধ তৈরি করেছে তা পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে, তবে ভাটির দেশগুলোতে জলবায়ুর প্রভাবও ফেলতে পারে।’

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, এই সফরে নয়াদিল্লির উদ্বেগ নিয়ে ওয়াশিংটন আলোচনা করবে।

ভারত সরকার বলছে, ভারতে প্রবাহিত ইয়ারলুং জাংবো নদীর ওপর তিব্বতে চীনের জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনার বিষয়ে তারা বেইজিংকে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। চীনা কর্মকর্তারা বলছেন যে তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশ বা ভাটির জল সরবরাহের উপর বড় প্রভাব ফেলবে না।

বার্ষিক আনুমানিক ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন এই বাঁধটি বিশ্বের বৃহত্তম হবে। এই বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন গত মাসে অনুমোদিত হয়েছিল।

বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মহাকাশ, সামরিক লাইসেন্স এবং চীনের অর্থনৈতিক অতিরিক্ত সক্ষমতার মতো বিষয়গুলোও এই সফরে উত্থাপন করা হবে বলে আশা করছে ওয়াশিংটন।

এই সফরে মার্কিন কর্মকর্তারা দালাই লামার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না বলে জানিয়েছেন আরেক মার্কিন কর্মকর্তা।

ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতন, ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক এবং যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মাটিতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্রের মতো ইস্যুতে মাঝেমধ্যে মতপার্থক্যের মধ্য দিয়ে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

ভারত সফরে চীনা বাঁধ নিয়ে আলোচনা করবেন জেক সুলিভান

প্রকাশ: ০২:১০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারি ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান ৫ থেকে ৬ জানুয়ারি নয়াদিল্লি সফর করবেন। তার এই সফরে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর চীনের তৈরি বাঁধগুলোর প্রভাব নিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

শুক্রবার এক শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। ওয়াশিংটন ও তার পশ্চিমা মিত্ররা দীর্ঘদিন ধরে ভারতকে এশিয়া ও এর বাইরে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের পাল্টা হিসেবে দেখে আসছে। খবর রয়টার্স।

সুলিভানের সফরের আগে যুক্তরাষ্ট্রের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিকের অনেক জায়গায় আমরা নিশ্চিতভাবে দেখেছি যে, মেকং অঞ্চলসহ চীনারা যে উজানে বাঁধ তৈরি করেছে তা পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে, তবে ভাটির দেশগুলোতে জলবায়ুর প্রভাবও ফেলতে পারে।’

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, এই সফরে নয়াদিল্লির উদ্বেগ নিয়ে ওয়াশিংটন আলোচনা করবে।

ভারত সরকার বলছে, ভারতে প্রবাহিত ইয়ারলুং জাংবো নদীর ওপর তিব্বতে চীনের জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনার বিষয়ে তারা বেইজিংকে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। চীনা কর্মকর্তারা বলছেন যে তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশ বা ভাটির জল সরবরাহের উপর বড় প্রভাব ফেলবে না।

বার্ষিক আনুমানিক ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন এই বাঁধটি বিশ্বের বৃহত্তম হবে। এই বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন গত মাসে অনুমোদিত হয়েছিল।

বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মহাকাশ, সামরিক লাইসেন্স এবং চীনের অর্থনৈতিক অতিরিক্ত সক্ষমতার মতো বিষয়গুলোও এই সফরে উত্থাপন করা হবে বলে আশা করছে ওয়াশিংটন।

এই সফরে মার্কিন কর্মকর্তারা দালাই লামার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না বলে জানিয়েছেন আরেক মার্কিন কর্মকর্তা।

ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতন, ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের মধ্যে রাশিয়ার সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক এবং যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মাটিতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্রের মতো ইস্যুতে মাঝেমধ্যে মতপার্থক্যের মধ্য দিয়ে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।