জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধে প্রজ্ঞাপন যেকোনো সময়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ১০:১৯:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪
  • ১৬৪ বার পঠিত হয়েছে

জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে যেকোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বুধবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাস দমন আইনের-১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এখনও প্রক্রিয়াধীন। যেকোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সুশীল সমাজের ডিমান্ড রয়েছে, ১৪ দলের ডিমান্ড রয়েছে এমনকি রাজনৈতিক ডিমান্ডও রয়েছে। অতিসম্প্রতি যেসব ঘটনাগুলো ঘটেছে, এগুলোর মধ্যে জামায়াত-শিবিরের যে সম্পর্ক রয়েছে এসব মিলেয়ে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

ছাত্রদের সবকিছুই মেনে যাওয়ার পরও আন্দোলন থামছে না উল্লেখ করে মন্ত্রী, ‘সেই আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। ছাত্ররা কোনোদিন এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতো না যদি পরামর্শদাতারা পরামর্শ না দিতো। এতে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস হয়েছে।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘এতগুলো মানুষ হতাহত হলো, শুধু কি পুলিশের গুলিতে? আমরা প্রকাশ করবো কার গুলিতে কতজন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে। সবকিছু তো ছাত্ররা করেনি। তাদের সামনে রেখে পেছনে যারা থেকেছে, এতে জামায়াত-শিবির ও বিএনপিসহ অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলো সম্পৃক্ত ছিল বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। অনেকদিনের একটা চাহিদা ছিল জামায়াত-শিবিরকে ব্যান করার, সেই প্রক্রিয়াটি চলছে।’

এর আগে সোমবার (২৯ জুলাই) ১৪ দলের বৈঠকে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধে একমত হন নেতারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এরপর মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, বুধবারের মধ্যেই জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

একইদিন সন্ধ্যায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকেও জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের বিষয়টি উঠে আসে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধে প্রজ্ঞাপন যেকোনো সময়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ১০:১৯:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে যেকোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বুধবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাস দমন আইনের-১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এখনও প্রক্রিয়াধীন। যেকোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সুশীল সমাজের ডিমান্ড রয়েছে, ১৪ দলের ডিমান্ড রয়েছে এমনকি রাজনৈতিক ডিমান্ডও রয়েছে। অতিসম্প্রতি যেসব ঘটনাগুলো ঘটেছে, এগুলোর মধ্যে জামায়াত-শিবিরের যে সম্পর্ক রয়েছে এসব মিলেয়ে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

ছাত্রদের সবকিছুই মেনে যাওয়ার পরও আন্দোলন থামছে না উল্লেখ করে মন্ত্রী, ‘সেই আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। ছাত্ররা কোনোদিন এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতো না যদি পরামর্শদাতারা পরামর্শ না দিতো। এতে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস হয়েছে।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘এতগুলো মানুষ হতাহত হলো, শুধু কি পুলিশের গুলিতে? আমরা প্রকাশ করবো কার গুলিতে কতজন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে। সবকিছু তো ছাত্ররা করেনি। তাদের সামনে রেখে পেছনে যারা থেকেছে, এতে জামায়াত-শিবির ও বিএনপিসহ অন্য জঙ্গি সংগঠনগুলো সম্পৃক্ত ছিল বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। অনেকদিনের একটা চাহিদা ছিল জামায়াত-শিবিরকে ব্যান করার, সেই প্রক্রিয়াটি চলছে।’

এর আগে সোমবার (২৯ জুলাই) ১৪ দলের বৈঠকে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধে একমত হন নেতারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এরপর মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, বুধবারের মধ্যেই জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

একইদিন সন্ধ্যায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকেও জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধের বিষয়টি উঠে আসে।