ইসলাম ধর্মমতে, মুসলমানদের জন্য অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান রোজা। ইসলামে বলা হয়েছে পাঁচটি মূল স্তম্ভের মধ্যে রোজা তৃতীয়।
ইসলামিক শরিয়ামতে, সিয়ামের শুদ্ধতা ও যথার্থতার জন্যই নির্ধারিত কিছু বিধিবিধান রয়েছে, যার ব্যতিক্রমধর্মী ঘটলেই রোজা ভঙ্গ হয়, অন্যথায় মাকরূহ হয়ে যায়।
মহান আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেকটি মুমিন বান্দাদের জন্য রমজান মাসে ফরজ রোজা রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন। যে ব্যক্তি রমজান মাসে রোজা রাখবে না বা ভঙ্গ করবে তার জন্য জান্নাতে প্রবেশ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
রোজা রাখা অবস্থায় মেনে চলতে হয় বেশ কিছু নিয়ম:
রোজা ভঙ্গের কারণ
১. ইচ্ছা করে বমি করা।
২. বমির বেশির ভাগ মুখে আসার পর তা গিলে ফেলা।
৩. মেয়েদের মাসিক ও সন্তান প্রসবের পর ঋতুস্রাব।
৪. ইসলাম ত্যাগ করলে।
৫. গ্লুকোজ বা শক্তিবর্ধক ইনজেকশন বা সেলাইন দিলে।
৬. প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্য কিছু শরীরে প্রবেশ করালে।
৭. রোজাদারকে জোর করে কেউ কিছু খাওয়ালে।
৮. ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করলে।
৯. মুখ ভরে বমি করলে।
১০. ভুলবশত কোনো কিছু খেয়ে, রোজা ভেঙে গেছে ভেবে ইচ্ছা করে আরো কিছু খেলে।
১১. বৃষ্টির পানি মুখে পড়ার পর তা খেয়ে ফেললে।
১২. কান বা নাক দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করালে।
১৩. জিহ্বা দিয়ে দাঁতের ফাঁক থেকে ছোলা পরিমাণ কোনো কিছু বের করে খেয়ে ফেললে।
১৪. অল্প বমি মুখে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে তা গিলে ফেললে।
১৫. রোজা স্মরণ থাকা অবস্থায় অজুতে কুলি বা নাকে পানি দেয়ার সময় ভেতরে পানি চলে গেলে। (ফাতাওয়ায়ে শামি ও ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি)।