লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালীর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মালুম্যা বগাইছড়ি খাল থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। দিনরাত ট্রাক, ট্রলি ও মাহিন্দ্র যোগে এসব বালু বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়েও বালু উত্তোলন ঠেকানো যাচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানায়, বালু লুটপাট বন্ধে অভিযান চালিয়ে প্রশাসন চলে আসার পর আবারও অবৈধভাবে বালু তোলা শুরু হয়। ফলে বালু লুটপাট ঠেকাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে।
৩নং ফাঁসিয়াখালী যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ মহরম আলী দিন-দুপুরে মালুম্যা এলাকার বগাইছড়ি পয়েন্ট থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে এবং সরাসরি খাল থেকে শ্রমিক দিয়ে অবাধে বালু লুটপাট চালিয়ে আসছে।
জানা যায়, এসব বালু লুটপাট বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যেই অভিযান পরিচালনা করা হয়। আর এ অভিযান থেকে রক্ষা পেতে বালুখেকোরা বেছে নিয়েছে ভিন্ন কৌশল। রাতের আঁধারে ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালু উত্তোলন করছে। আর সারাদিন-রাত ট্রাক, ট্রলি ও মাহিন্দ্র যোগে এসব বালু বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে।
জানা গেছে, এই বালুমহাল থেকে ৩০-৪০ ট্রাক বালু প্রতিদিন গড়ে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি ট্রাক বালু বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। এতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুই-তিন লক্ষ টাকার বালু বিক্রি হচ্ছে এখান থেকেই।
নদীর পাড় ও ফসিল জমির থেকে বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলনের কারণে কিছু দিন আগে মালুম্যা ছাগল্লারঝিরি এলাকায় দেড় হাজার পরিবারের এক মাত্র চলাচলের ব্রিজটি ভেঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ডুলাহাজারা বাজার ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ড়েছে।
এতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ভারী যানবাহনে নির্বিচারে বালু পরিবহনে রাস্তাঘাট ভেঙে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য হুমকিতে পড়ার সাথে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল পরিমাণের রাজস্ব আয় থেকে।
লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মঈন উদ্দিন বলেন, অবৈধ বালু লুটপাট বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, অবৈধ বালু লুটপাট বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।