ছয় সাত জনকে প্রাথমিক  চিকিৎসা সহ প্রত্যেকের  ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে

কয়রায় পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী শিশু সহ ১০ জন আহত

খুলনার কয়রা  উপজেলা সদরে এক পাগলা  কুকুরের কামড়ে একই পরিবারের  তিনজন নারী শিশু সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। 

কুকুরটি ৯ মার্চ রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত উপজেলা সদরের হাই  স্কুলের মোড়  এলাকা থেকে মধুর মোড় পর্যন্ত নারী শিশু পথচারী সহ যাকেই  পেয়েছে তাকেই হামলা করে। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য  কমপ্লেক্স সহ সদরের বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতরা হলেন,  কয়রা সদরের আব্দুল গফুর (৫৫) আব্দুল হান্নান (৩২) শিমুল হোসেন (৪০) আহাতরা  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া হাই স্কুলের মোড়  এলাকার বাসিন্দা একই পরিবারের মা নাসিমা বেগম (৩৫) পুত্র সজীব (১৩) শিশু কন্যা আছুফা (৩)।  উপজেলা সদরের আব্দুর রউফ সানার পুত্র সিয়াম (১২)  মদিনা-বাদ গ্রামের ভ্যানচালক  নিতাই (৪০)সহ ১০জন। পাগলা কুকুরটি একই সময়ে কয়রা মদিনা বাদ সরকারি মডেল  মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে  দুটি ছাগল কামড় দিয়ে হত্যা করে।

কয়রা সদরের স্থানীয়  চিকিৎসক মনোয়ার  হোসেন বলেন, ছয় সাত জনকে প্রাথমিক  চিকিৎসা সহ প্রত্যেকের  ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।  স্থানীয় চিকিৎসক আমিরুল  ইসলামের কাছেও কয়েকজন  চিকিৎসা  নিয়েছেন বলে জানা গেছে।  জানা গেছে গ্রামবাসী তাৎক্ষণিক  কুকুরটিকে পিটিয়ে  হত্যা করেছে।

ভুক্তভোগী পরিবারের  মাগফুরাজ হোসেন জানান, আমার চাচি নাসিমা বেগম ইফতারের পরপরই দুই  শিশু সন্তানকে নিয়ে ঘরের ভিতরে ভাত  খাচ্ছিলেন ভাত খাওয়া শেষ হতেই আচমকা একটি কুকুর ঘরের ভিতরে ঢুকে তিনজনের  ওপর হামলা করে। এসময় তাদের চিৎকারে আমরা বাড়ির সকল মানুষ একত্রিত হয়ে তাড়া করলে দৌড়ে  বাজারের ভিতরে ঢুকে যায় এ সময়  আরো অনেককে কামড়ে দেয়।

স্থানীয় গণমাধ্যম  কর্মী ফরহাদ হোসেন  বলেন, কয়রা সদরে অন্তত এ ধরনের  ১০-১৫ টি বেয়ারিশ কুত্তা প্রতিনিয়ত ঘোরাফেরা করে থাকে। হঠাৎ করে কার  উপরে হামলা করে বসে এই আতঙ্কে এলাকার  অভিভাবক মহল উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।  বিশেষ করে প্রাথমিক  বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিশুদের নিয়ে, বাজার  সংলগ্ন সদরের সরকারি  বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ,  মাদ্রাসা, কিন্ডারগার্ডেন  সহ বিভিন্ন বিদ্যাপীঠে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের  অভিভাবক মহলে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ  মোঃ রেজাউল করিম বলেন, আমারা আহত তিন  ব্যক্তির চিকিৎসা দিয়েছি। তবে এ ব্যাপারে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ দেখিনা।  হঠাৎ একটি মাত্র কুকুরেই  কয়েকজনকে কামড়ে দিয়েছে এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলা যেতে পারে। সাধারণত ভাদ্র  আশ্বিন মাসে কুকুরের এই  আচরণ দেখা দেয়।  তবে কুকুরের এ ধরনের আচরণ পুনরায় দেখা গেলে আমাকে জানালে আমি উপজেলা  পরিষদের সাথে সমন্বয় করে কিছু করা  যেতে পারে।

ছয় সাত জনকে প্রাথমিক  চিকিৎসা সহ প্রত্যেকের  ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে

কয়রায় পাগলা কুকুরের কামড়ে নারী শিশু সহ ১০ জন আহত

প্রকাশ: ১১:৫৭:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

খুলনার কয়রা  উপজেলা সদরে এক পাগলা  কুকুরের কামড়ে একই পরিবারের  তিনজন নারী শিশু সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। 

কুকুরটি ৯ মার্চ রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত উপজেলা সদরের হাই  স্কুলের মোড়  এলাকা থেকে মধুর মোড় পর্যন্ত নারী শিশু পথচারী সহ যাকেই  পেয়েছে তাকেই হামলা করে। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য  কমপ্লেক্স সহ সদরের বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতরা হলেন,  কয়রা সদরের আব্দুল গফুর (৫৫) আব্দুল হান্নান (৩২) শিমুল হোসেন (৪০) আহাতরা  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া হাই স্কুলের মোড়  এলাকার বাসিন্দা একই পরিবারের মা নাসিমা বেগম (৩৫) পুত্র সজীব (১৩) শিশু কন্যা আছুফা (৩)।  উপজেলা সদরের আব্দুর রউফ সানার পুত্র সিয়াম (১২)  মদিনা-বাদ গ্রামের ভ্যানচালক  নিতাই (৪০)সহ ১০জন। পাগলা কুকুরটি একই সময়ে কয়রা মদিনা বাদ সরকারি মডেল  মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে  দুটি ছাগল কামড় দিয়ে হত্যা করে।

কয়রা সদরের স্থানীয়  চিকিৎসক মনোয়ার  হোসেন বলেন, ছয় সাত জনকে প্রাথমিক  চিকিৎসা সহ প্রত্যেকের  ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।  স্থানীয় চিকিৎসক আমিরুল  ইসলামের কাছেও কয়েকজন  চিকিৎসা  নিয়েছেন বলে জানা গেছে।  জানা গেছে গ্রামবাসী তাৎক্ষণিক  কুকুরটিকে পিটিয়ে  হত্যা করেছে।

ভুক্তভোগী পরিবারের  মাগফুরাজ হোসেন জানান, আমার চাচি নাসিমা বেগম ইফতারের পরপরই দুই  শিশু সন্তানকে নিয়ে ঘরের ভিতরে ভাত  খাচ্ছিলেন ভাত খাওয়া শেষ হতেই আচমকা একটি কুকুর ঘরের ভিতরে ঢুকে তিনজনের  ওপর হামলা করে। এসময় তাদের চিৎকারে আমরা বাড়ির সকল মানুষ একত্রিত হয়ে তাড়া করলে দৌড়ে  বাজারের ভিতরে ঢুকে যায় এ সময়  আরো অনেককে কামড়ে দেয়।

স্থানীয় গণমাধ্যম  কর্মী ফরহাদ হোসেন  বলেন, কয়রা সদরে অন্তত এ ধরনের  ১০-১৫ টি বেয়ারিশ কুত্তা প্রতিনিয়ত ঘোরাফেরা করে থাকে। হঠাৎ করে কার  উপরে হামলা করে বসে এই আতঙ্কে এলাকার  অভিভাবক মহল উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।  বিশেষ করে প্রাথমিক  বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিশুদের নিয়ে, বাজার  সংলগ্ন সদরের সরকারি  বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজ,  মাদ্রাসা, কিন্ডারগার্ডেন  সহ বিভিন্ন বিদ্যাপীঠে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের  অভিভাবক মহলে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ  মোঃ রেজাউল করিম বলেন, আমারা আহত তিন  ব্যক্তির চিকিৎসা দিয়েছি। তবে এ ব্যাপারে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ দেখিনা।  হঠাৎ একটি মাত্র কুকুরেই  কয়েকজনকে কামড়ে দিয়েছে এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলা যেতে পারে। সাধারণত ভাদ্র  আশ্বিন মাসে কুকুরের এই  আচরণ দেখা দেয়।  তবে কুকুরের এ ধরনের আচরণ পুনরায় দেখা গেলে আমাকে জানালে আমি উপজেলা  পরিষদের সাথে সমন্বয় করে কিছু করা  যেতে পারে।