সন্ধ্যা হলেই মশার উপদ্রপে অতিষ্ঠ জলঢাকাবাসী নেই কার্যকরী ব্যবস্থা

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ১২:৪০:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • ৫৯ বার পঠিত হয়েছে

নীলফামারীর জলঢাকায় হঠাৎ করেই মশার উপদ্রবে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলছে। এতে মশা বাহিত রোগের আতঙ্কে আছে উপজেলাবাসী।

২০১৯ সালে দেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে প্রায় দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়া ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয় অনেক মানুষ। এতে উপজেলাবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল।

এদিকে এবারের শীতের শেষ মৌসুমে মশার উপদ্রবে ঘরে-বাইরে কোথাও স্বাভাবিক কাজকর্ম করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন উপজেলা ও পৌরবাসী।

এলাকাবাসীরা বলছেন, নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়না। আবার মাঝে মাঝে যে মশক নিধন স্প্রে করা হয় তাও কার্যকর নয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে উপজেলাবাসী।

একই সঙ্গে তাদের মনে মশাবাহিত রোগের আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ সময়ে কিউলেক্সসহ অন্যান্য মশার আক্রমণে ফাইলেরিয়াসিসসহ চিকুনগুনিয়া রোগেরও ঝুঁকি রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন পৌরবাসী।

পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান জনান পৌরসভার পক্ষ থেকে নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম মনিটরিংয়ের পাশাপাশি ওষুধের গুণগত মান পরীক্ষা করছি। বলা যায়, আমরানগুরুত্বের সঙ্গেই মশার উপদ্রব রোধে কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি বিভিন্ন খাল ও ড্রেনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। আশা করছি, শীঘ্রই মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

এদিকে পৌরসভার বাসষ্টান্ড, কলেজপাড়া,মুদিপাড়া, সবুজপাড়া, উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল হাজীপাড়া, বালাগ্রাম ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের নেকবক্ত বাজার, সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন সহ এলাকার বাসিন্দারা বলেন, বিকেল হতেই মশার উপদ্রব শুরু হয়। মশারি টানিয়েও রেহাই পাওয়া যায় না। আবার কয়েলের ধোঁয়া সহ্য হয় না। তাই কয়েলও ব্যবহার করা যায় না। যে ওষুধ দেয় তাতে তো মশা মরে না, খালি ধোঁয়া হয়। এভাবে না করে মশা মারার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ আমরা ঘরেও বসতে পারি না। বাচ্চারা পড়তে পারে না। সন্ধ্যা হলেই মশারির মধ্যে ঢুকতে হয়। তারপরও তো বিভিন্ন মশা বাহিত রোগের আতঙ্ক থাকে। মশা নিধনে করা স্প্রের ওষুধ কাজে আসছে না দাবি করে তারা বলেন, আমরা দেখি বিকেলে বা সন্ধ্যায় স্প্রে করছে, কিন্তু মশার তো কিছুই হয় না। তা না হলে রাত হতেই মশার উপদ্রব শুরু হবে কেন? আমরা বলতে চাই, মশা নিধনে যে স্প্রে (ওষুধ) ব্যবহার করা হয় তা কার্যকর কিনা আগে পরীক্ষামূলক ব্যবহার করে ছিটাতে হবে।

এছাড়া উপজেলা ও পৌর শহরে মশার বৃদ্ধি যাতে না হয় এজন্য কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা প্রয়োজন।

বিশেষ করে, দীর্ঘদিন একই কীটনাশক ব্যবহারে ‘মশা সহনশীল হয়ে যায়’ দাবি করে কার্যকর ওষুধ কেনার পাশাপাশি তদারকি বাড়ানোর তাগিদও দেন সচেতন ব্যাক্তিরা।

কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল হাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা শিক্ষার্থী রুম্মান সিদ্দিকী জানান, সন্ধ্যা হলেই মশার উপদ্রব থেকে রেহাই পাইনা পড়তে পারিনা।

কয়েল জ্বালিয়ে, স্প্রে ব্যবহার করে এবং মশারি টানিয়েও মশার হাত থেকে বাঁচতে পারছি না।

গাবরোল বালাপাড়া রুপনগর শিশু পার্কের মালিক রুবেল বলেন, মাসিক আয়ের একটা নির্দিষ্ট অংশ মশার হাত থেকে রেহাই পেতে ব্যয় করতে হয়। মাঝে মাঝে যে স্প্রে করতে দেখি তাতেও কোন কাজ হয় বলে মনে হয় না। তাহলে আমরা মশার উপদ্রব থেকে কীভাবে রেহাই পাব?

জলঢাকা মুন্নুপার্ক এলাকায় ঘুরতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তারা বলেন, ‘বিকেলে যে এখানে ঘুরতে আসব তাও শান্তি নেই। সন্ধ্যা নামার আগেই মশার উপদ্রব শুরু হয়। বাধ্য হয়েই এখানে থাকতে পারি না, আর আসাও হয় না।’

পৌরসভার মাথাভাঙ্গার বাসিন্দা শিল্পী বলেন, ‘যে ওষুধ দেয় তাতে তো মশা মরে না, খালি ধোঁয়া হয়। এভাবে নামমাত্র স্প্রে না করে মশা মারার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ আমরা ঘরেও বসতে পারি না। বাচ্চারা লেখাপড়া করতে পারে না। সন্ধ্যা হলেই মশারির মধ্যে ঢুকতে হয়। তারপরও তো আতঙ্ক থাকে।

ডেঙ্গুর কারণে মানুষের যে কষ্ট হয় তা তো দেখেছি।এই শীতের শেষ সময়ে যেন মশার বিড়ম্বনা বেশিই।’ কলেজ পাড়ার গৃহকর্মী রাশেদা বেগম একমাত্র মেয়েকে নিয়ে এক কক্ষের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। জলঢাকায় দেড় বছর ধরে বসবাস করছেন তিনি। রাশেদা বেগম বলেন, ‘ঘরে যে মশার যন্ত্রণা, সারা বছরই ফ্যান চালিয়ে রাখি। যাতে মশার আক্রমণ কম হয়, কয়েল আর কত কেনা যায়। এখন যে কী স্প্রে করে বুঝি না, মশাও মরে না। আবার ডেঙ্গু ভয় তো আছেই।’

পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান জানান, এই শীতের শেষ সময়ে কিউলেক্স মশা কিছুটা বাড়ে। মশা নিধনে আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম চলছে। একই সঙ্গে আমরা নিয়মিত তদারকি করছি।’ তিনি ওষুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে বলেন আমরা যাচাই-বাছাই করে মশক নিধনের ওষুধ ব্যবহার করি। ওষুধ ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে তো মশা মরে না, কিছুটা সময় লাগে। অনেকেই না বুঝে এমন অভিযোগ করেন এসব অভিযোগ অমূলক।’

জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন দৈনিক টার্গেটকে বলেন, ‘আসলে শীতের শেষ সময় কিউলেক্স মশার উপদ্রব বাড়ে। আমরা উপজেলার পক্ষ থেকে নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম মনিটরিংয়ের পাশাপাশি ওষুধের গুণগত মান পরীক্ষা করছি। বলা যায়, গুরুত্বের সঙ্গেই মশার উপদ্রব রোধে কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি বিভিন্ন খাল ও ড্রেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে, যাতে মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস হয়। আমরা আশা করছি, শীঘ্রই মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে আসবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওষুধের পরিমাণ বেশি হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। আমরা এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে মশক নিধনের ওষুধ ব্যবহার করি। তাই বলে ওষুধ কাজে আসছে না এমনটি বললে ভুল হবে।’

সন্ধ্যা হলেই মশার উপদ্রপে অতিষ্ঠ জলঢাকাবাসী নেই কার্যকরী ব্যবস্থা

প্রকাশ: ১২:৪০:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

নীলফামারীর জলঢাকায় হঠাৎ করেই মশার উপদ্রবে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলছে। এতে মশা বাহিত রোগের আতঙ্কে আছে উপজেলাবাসী।

২০১৯ সালে দেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে প্রায় দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়া ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয় অনেক মানুষ। এতে উপজেলাবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল।

এদিকে এবারের শীতের শেষ মৌসুমে মশার উপদ্রবে ঘরে-বাইরে কোথাও স্বাভাবিক কাজকর্ম করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন উপজেলা ও পৌরবাসী।

এলাকাবাসীরা বলছেন, নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়না। আবার মাঝে মাঝে যে মশক নিধন স্প্রে করা হয় তাও কার্যকর নয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে উপজেলাবাসী।

একই সঙ্গে তাদের মনে মশাবাহিত রোগের আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ সময়ে কিউলেক্সসহ অন্যান্য মশার আক্রমণে ফাইলেরিয়াসিসসহ চিকুনগুনিয়া রোগেরও ঝুঁকি রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন পৌরবাসী।

পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান জনান পৌরসভার পক্ষ থেকে নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম মনিটরিংয়ের পাশাপাশি ওষুধের গুণগত মান পরীক্ষা করছি। বলা যায়, আমরানগুরুত্বের সঙ্গেই মশার উপদ্রব রোধে কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি বিভিন্ন খাল ও ড্রেনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। আশা করছি, শীঘ্রই মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

এদিকে পৌরসভার বাসষ্টান্ড, কলেজপাড়া,মুদিপাড়া, সবুজপাড়া, উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল হাজীপাড়া, বালাগ্রাম ইউনিয়নের চৌধুরীপাড়া, ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের নেকবক্ত বাজার, সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন সহ এলাকার বাসিন্দারা বলেন, বিকেল হতেই মশার উপদ্রব শুরু হয়। মশারি টানিয়েও রেহাই পাওয়া যায় না। আবার কয়েলের ধোঁয়া সহ্য হয় না। তাই কয়েলও ব্যবহার করা যায় না। যে ওষুধ দেয় তাতে তো মশা মরে না, খালি ধোঁয়া হয়। এভাবে না করে মশা মারার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ আমরা ঘরেও বসতে পারি না। বাচ্চারা পড়তে পারে না। সন্ধ্যা হলেই মশারির মধ্যে ঢুকতে হয়। তারপরও তো বিভিন্ন মশা বাহিত রোগের আতঙ্ক থাকে। মশা নিধনে করা স্প্রের ওষুধ কাজে আসছে না দাবি করে তারা বলেন, আমরা দেখি বিকেলে বা সন্ধ্যায় স্প্রে করছে, কিন্তু মশার তো কিছুই হয় না। তা না হলে রাত হতেই মশার উপদ্রব শুরু হবে কেন? আমরা বলতে চাই, মশা নিধনে যে স্প্রে (ওষুধ) ব্যবহার করা হয় তা কার্যকর কিনা আগে পরীক্ষামূলক ব্যবহার করে ছিটাতে হবে।

এছাড়া উপজেলা ও পৌর শহরে মশার বৃদ্ধি যাতে না হয় এজন্য কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা প্রয়োজন।

বিশেষ করে, দীর্ঘদিন একই কীটনাশক ব্যবহারে ‘মশা সহনশীল হয়ে যায়’ দাবি করে কার্যকর ওষুধ কেনার পাশাপাশি তদারকি বাড়ানোর তাগিদও দেন সচেতন ব্যাক্তিরা।

কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল হাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা শিক্ষার্থী রুম্মান সিদ্দিকী জানান, সন্ধ্যা হলেই মশার উপদ্রব থেকে রেহাই পাইনা পড়তে পারিনা।

কয়েল জ্বালিয়ে, স্প্রে ব্যবহার করে এবং মশারি টানিয়েও মশার হাত থেকে বাঁচতে পারছি না।

গাবরোল বালাপাড়া রুপনগর শিশু পার্কের মালিক রুবেল বলেন, মাসিক আয়ের একটা নির্দিষ্ট অংশ মশার হাত থেকে রেহাই পেতে ব্যয় করতে হয়। মাঝে মাঝে যে স্প্রে করতে দেখি তাতেও কোন কাজ হয় বলে মনে হয় না। তাহলে আমরা মশার উপদ্রব থেকে কীভাবে রেহাই পাব?

জলঢাকা মুন্নুপার্ক এলাকায় ঘুরতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তারা বলেন, ‘বিকেলে যে এখানে ঘুরতে আসব তাও শান্তি নেই। সন্ধ্যা নামার আগেই মশার উপদ্রব শুরু হয়। বাধ্য হয়েই এখানে থাকতে পারি না, আর আসাও হয় না।’

পৌরসভার মাথাভাঙ্গার বাসিন্দা শিল্পী বলেন, ‘যে ওষুধ দেয় তাতে তো মশা মরে না, খালি ধোঁয়া হয়। এভাবে নামমাত্র স্প্রে না করে মশা মারার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ আমরা ঘরেও বসতে পারি না। বাচ্চারা লেখাপড়া করতে পারে না। সন্ধ্যা হলেই মশারির মধ্যে ঢুকতে হয়। তারপরও তো আতঙ্ক থাকে।

ডেঙ্গুর কারণে মানুষের যে কষ্ট হয় তা তো দেখেছি।এই শীতের শেষ সময়ে যেন মশার বিড়ম্বনা বেশিই।’ কলেজ পাড়ার গৃহকর্মী রাশেদা বেগম একমাত্র মেয়েকে নিয়ে এক কক্ষের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। জলঢাকায় দেড় বছর ধরে বসবাস করছেন তিনি। রাশেদা বেগম বলেন, ‘ঘরে যে মশার যন্ত্রণা, সারা বছরই ফ্যান চালিয়ে রাখি। যাতে মশার আক্রমণ কম হয়, কয়েল আর কত কেনা যায়। এখন যে কী স্প্রে করে বুঝি না, মশাও মরে না। আবার ডেঙ্গু ভয় তো আছেই।’

পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান জানান, এই শীতের শেষ সময়ে কিউলেক্স মশা কিছুটা বাড়ে। মশা নিধনে আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম চলছে। একই সঙ্গে আমরা নিয়মিত তদারকি করছি।’ তিনি ওষুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে বলেন আমরা যাচাই-বাছাই করে মশক নিধনের ওষুধ ব্যবহার করি। ওষুধ ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে তো মশা মরে না, কিছুটা সময় লাগে। অনেকেই না বুঝে এমন অভিযোগ করেন এসব অভিযোগ অমূলক।’

জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন দৈনিক টার্গেটকে বলেন, ‘আসলে শীতের শেষ সময় কিউলেক্স মশার উপদ্রব বাড়ে। আমরা উপজেলার পক্ষ থেকে নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম মনিটরিংয়ের পাশাপাশি ওষুধের গুণগত মান পরীক্ষা করছি। বলা যায়, গুরুত্বের সঙ্গেই মশার উপদ্রব রোধে কাজ করে যাচ্ছি। পাশাপাশি বিভিন্ন খাল ও ড্রেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে, যাতে মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস হয়। আমরা আশা করছি, শীঘ্রই মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে আসবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওষুধের পরিমাণ বেশি হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। আমরা এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে মশক নিধনের ওষুধ ব্যবহার করি। তাই বলে ওষুধ কাজে আসছে না এমনটি বললে ভুল হবে।’