Site icon দৈনিক টার্গেট

শুক্রবার দোয়া কবুল হয় যে সময়ে

সিঙ্গাপুর মসজিদ সুলতান

জুমার দিন সাপ্তাহিক ঈদের দিন মুসলমানরা এ দিনে একত্র হয় মসজিদে নামাজ আদায় করেন। এ সময় তাদের মাঝেই পরস্পরের মতবিনিময় হয় এবং তৈরি হয় সেতুবন্ধন।

শুক্রবার মুসলামানদের জন্য বিশেষ সুযোগ। এদিন ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য অর্জন করতে পারেন তারা। এ দিনের শ্রেষ্ঠত্ব ও মাহাত্ম মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে অনেকটা।

কোরআন-হাদিসে শুক্রবার শ্রেষ্ঠত্ব হওয়ার কথা পাওয়া যায়, হাদিসে ইরশাদ হয়েছে।

সূর্য যে সব দিন উদিত হয় অর্থাৎ দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম দিন হলেন জুমার দিন। এই দিন আদম আলাইহিসসালামকে সৃষ্টি করা হয়েছিলেন। এই দিন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিলেন। এ দিনই তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছিলেন। কিয়ামতও সংঘটিত হবে এ দিনেই। (সহিহ মুসলিম, হাদিস:৮৫৪-মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ৯৪০৯)

এমনকি জুমার দিনের প্রতি মুহূর্তেই আলাদা শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। এদিনের আছরের পর কেউ যদি আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করেন আল্লাহ তায়ালা তার দোয়া কবুল করে নেন।

হাদিসে এসেছেন, জুমার দিনে ১২টি সময় রয়েছে, এ সময়ে কেউ আল্লাহ তায়ালার কাছে কোনো কিছু কামনা করলে আল্লাহ তায়ালা তাকে সেটা দান করেন। সুতরাং আছরের পর তোমরা সে সময়টি তালাশ করো। (আবু দাউদ, হাদিস:১০৪৮)

এছাড়াও জুমার দিনে আসরের নামাজের পর ৮০ বার নিচের দোয়াটি পড়লে আল্লাহ তায়ালা তার জীবনের ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেন।

আরবি উচ্চারণ: اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ النَّبِيِّ الْأُمِّيِّ وَعَلَى آلِهِ وَسَلِّم تَسْلِيْمَا বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলিমা।

এখান থেকে অনেকে আপত্তি করে থাকেন যে, ৮০ বছর যাদের হয় নাই তাদের কী হবে, বর্তমানে ৮০ বছরের মানুষ পাওয়া-তো খুবই দুষ্কর ও দুর্লভ?

এ আপত্তির নিরসনে হাদিস বিশারদরা বলেন, ৮০ বছর না পেলেও আল্লাহ তায়ালা তার জীবনের অন্যান্য গুনাহ মাফ করে দেবেন। আর যদি কারও গুনাহ-ই না থাকে তাহলে আল্লাহ তাআলা তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন। তারা এ-ও বলেন যে, এখানে গুনাহের দ্বারা ছগিরা তথা ছোট গুনাহের উদ্দেশ্য।

এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে

রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার দিন সম্পর্কে আলোচনা করেছেন এবং বলেন, এ দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে, যে কোনো মুসলমান বান্দা যদি এ সময় নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহর নিকট কিছু প্রার্থনা করে, তবে তিনি তাকে অবশ্যই তা দিয়ে থাকেন এবং তিনি হাত দিয়ে ইঙ্গিত করে বুঝিয়ে দিলেন যে, সে মুহূর্তটি খুবই সংক্ষিপ্ত। (বোখারি শরিফ, হাদিস :৯৩৫)

এ হাদিসে কোন সময় উদ্দেশ্য- এ নিয়ে মুহাদ্দিসরা বিভিন্ন ব্যাখ্যা করে থাকেন। কেউ বলেন, খতিব সাহেব মিম্বরে বসার পর থেকে নামাজ শেষ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। কেউ বলেন, আসরের পর থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত। এ মতটিই অধিক সঠিকতার নিকটবর্তী। (ফতহুল বারি খন্ড:২, পৃষ্ঠা :৪৮২-৪৮৩

Exit mobile version