আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ব্যাপারে কটুক্তিকারী রাখাল রাহা ও হাসান গালিবের গ্রেফতার সহ উপযুক্ত শাস্তি এবং ইসলামকে নিয়ে কটুক্তি কারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি সংবিধানে প্রণয়নের দাবীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তাওহীদি জনতার ব্যানারে বিকাল ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের প্রাণকেন্দ্র মুক্ত মঞ্চের সামনে থেকে শুরু হলে বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে কাউতুলী পর্যন্ত যায়।

সেখানে বক্তব্য প্রদান কালে বৈষম্য বিরোধী কওমী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা শেখ আরিফ বিল্লাহ আজিজি তার বক্তব্যে বলেন, আল্লাহ ও রাসূল (সা.) এর কটুক্তি কারীদের ব্যাপারে সংবিধানে সর্বোচ্চ শাস্তির আইন প্রনয়ন করতে হবে। রাখাল রাহা সহ সকল নাস্তিকদেরকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, রাখাল রাহকে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক সংস্কার কমিশন থেকে দ্রুত বাতিল করতে হবে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্র প্রতিনিধি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ১৩ সালে শাপলা ও ২৪ সালে ৩৬শে জুলাই কায়েম হয়েছিলো, এগুলো মুসলমানদের রক্তের বিনিময়েই হয়েছিলো। অতএব ৯৫ভাগ মুসলমানের দেশে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে কটুক্তিকারীদের শাস্তির ব্যবস্থা যদি না করা হয় তাহলে বাংলার মুসলমানগণ সেটা নিজ হাতে তুলে নিতে বাধ্য থাকিবে।
ছাত্র নেতা যোবায়ের মোর্তাজা বলেন, চার ইমাম সহ সকল আলেমগন এ ব্যাপারে একমত, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে কটুক্তি করবে তাদেরকে হত্যা করতে হবে। কাজেই রাখাল রাহা মাফ চাইলেও তাকে মাফ করা যাবেনা তাকে ফাঁসি দিতে হবে।
আরিফ বিল্লাহ মোজাহিদ বলেন, আমি অন্তবর্তীকালিন সরকারের কাছে বলবো, সংবিধানে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কটুক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড রাখতে হবে। সাথে সাথে রাখাল রাহা সহ গালিবকে অতিদ্রুত গ্রেফতারের আওতায় আনতে হবে। এতে যদি কালক্ষেপন করা হয় তাহলে তাওহীদি জনতা পরামর্শক্রমে যেকোনো কঠোর কর্মসূচিতে যেতে পারে।
পরিশেষে দোয়ার মাধ্যমে উক্ত বিক্ষোভ মিছিল সমাপ্ত হয়