২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের পর দেশের জনগণের মধ্যে একটি বৈষম্যহীন, দারিদ্রমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের যে স্বপ্ন তৈরি হয়েছে তা রূপায়নে যাকাত একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে এক লাখ কোটি টাকার যাকাত হয়।
ইউএনডিপি এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে প্রায় ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে ১ কোটি ৮৭ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্টে (সিজেডএম)- এর উদ্যোগে আগামী শনিবার ও রোববার ত্রয়োদশ যাকাত ফেয়ার অনুষ্ঠিত হবে। এবারের ফেয়ারে বিভিন্ন আর্থিক ও যাকাত প্রতিষ্ঠানের স্টলসহ যাকাত কনসালটেশন ডেস্ক ও বিভিন্ন ইসলামিক বইয়ের স্টল থাকবে।
তিনি আরো বলেন, দেশে প্রায় ১৩ শতাংশ মানুষ ক্ষুধা নিয়ে ঘুমিয়ে যায়। কিন্তু কল্পনা করুন, যদি এক লাখ কোটি টাকা যাকাত সঠিকভাবে ব্যবহার হয় তাহলে বাংলাদেশে কেউ ক্ষুধার্ত থাকবে না। ১ লাখ কোটি টাকা যদি ১ কোটি ৮৭ লাখ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীন মানুষদের মাঝে বণ্টন করা হয় তাহলে জনপ্রতি ৫৩ হাজার ৪শ’৭৫ টাকা করে পাবে যা একটি মানুষের সারা বছরব্যাপী খাদ্য যোগানের জন্য যথেষ্ট। বাংলাদেশে সিজেডএম প্রাতিষ্ঠানের যাকাত ব্যবস্থাপনায় ১০০০ কোটি টাকার যাকাত বিতরণ করলে ৫৩ লাখ মানুষের মৌলিক চাহিদা খাদ্য, বস্ত্র, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সেন্টার ফর যাকাত ম্যানেজমেন্টের নির্বাহী পরিষদের কনভেনার মুনওয়ার মিসবাহ মঈন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া ও সিজেডএম এর হেড অফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স কর্নেল অব. মুহাম্মদ জাকারিয়া হোসেন প্রমুখ।