করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আগামীকাল বুধবার ১৯ ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়াতে যাচ্ছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। পাকিস্তান মূল আয়োজক হলেও ৮ দলের এই টুর্নামেন্টের খেলা হবে মধ্যপ্রাচ্যেও।
ভারত তাদের সব ম্যাচ খেলবে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। থাকছে আকর্ষণীয় প্রাইজমানি। ওয়ানডের বৈশ্বিক আসরের টুকিটাকি আরও অনেক তথ্য জেনে নেওয়া যাক এবার।
যেসব দল অংশ নিচ্ছে
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ২ গ্রুপে ভাগ হয়ে অংশগ্রহণ করবে মোট ৮ দল। গ্রুপ ‘এ’তে আয়োজক পাকিস্তানের সঙ্গী ভারত, বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। গ্রুপ ‘বি’তে আছে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান।
ভারতের ম্যাচের সূচি
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মিশন শুরু করবে ভারত। ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে রোহিত শর্মার দল। ২ মার্চ গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। ভারতের সবগুলো ম্যাচ হবে দুবাইতে।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ
পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে আগামীকাল বুধবার পর্দা উঠবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এবারের আসরের। মিনি বিশ্বকাপখ্যাত টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়ার মিশন শুরু হবে ২২ ফেব্রুয়ারি। গ্রুপ ‘বি’তে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সেদিন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে অজিরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ২১ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বাকি ২ ম্যাচ নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। যথাক্রমে ২৪ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি তাদের বিপক্ষে খেলতে নামবে শান্ত বাহিনী।
যেভাবে ৮ দল বাছাই
আয়োজক হওয়ায় সরাসরি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলবে পাকিস্তান। আয়োজকসহ ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের শীর্ষ ৮ দল টুর্নামেন্টটিতে জায়গা করে নিয়েছে।
টুর্নামেন্ট ফরম্যাট
গ্রুপ পর্বে প্রতিটি দল একবার করে বাকি দলগুলোর বিপক্ষে খেলবে। প্রতিটি গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুটি দল সেমিফাইনালে যাবে। দুই সেমিফাইনালের জয়ী দল শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ খেলবে।
যে কারণে এখনো ফাইনাল ম্যাচের ভেন্যু নির্ধারণ হয়নি
ভারতের কারণে এখনো চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল ম্যাচের ভেন্যু চূড়ান্ত হয়নি। ম্যান ইন ব্লুদের আপত্তিতে হাইব্রিড মডেলে হবে এবারের আসর। অর্থাৎ টুর্নামেন্টে ভারতের সবগুলো ম্যাচ হবে দুবাইতে। তাই ভারত ফাইনালে উঠলে ম্যাচটির ভেন্যু হবে দুবাই। অন্যদিকে রোহিতরা ফাইনালে উঠতে না পারলে ম্যাচটি লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হবে।
প্রাইজমানি
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সবশেষ আসরের চেয়ে এবার ৫৩ শতাংশ প্রাইজমানি বাড়িয়েছে আইসিসি। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ২২ লাখ ৪০ হাজার ডলার। বাংলাদেশের মুদ্রায় যা প্রায় ২৭ কোটি ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪২৪ টাকা। রানার্সআপ দল পাবে ১১ লাখ ২০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৩ কোটি ৫৩ লাখ ২১২ টাকা। সেমিফাইনালে বাদ পড়া দুদলের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার করে। বাংলাদেশি মুদ্রায় তারা পাবে প্রায় ৬ কোটি ৭৬ লাখ ৬১ হাজার ৬০৬ টাকা।