তিনবিঘা করিডোর চুক্তির শর্ত মানছে না ভারত সরকার

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৪:১৫:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ৪১ বার পঠিত হয়েছে

দহগ্রাম আঙ্গরপোতা ছিটমহলের ২২ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ তিনবিঘা করিডোর। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে যাতায়াতের সুবিধার্থে এটি বাংলাদেশকে ইজারার মাধ্যমে দেয় ভারত।

দুদেশের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী করিডোরটি ২৪ ঘণ্টাই উন্মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও এখনো ভারতীয়দের দখলে রয়েছে করিডোর। চুক্তির শর্ত মানছে না ভারত সরকার।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মেঘলিগঞ্জ মহকুমা ও বাংলাদেশের লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত এটি। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী স্বতন্ত্র ভূমি যা ভারতের মালিকানাধীন।

মাত্র তিনবিঘা জায়গার মধ্যে অবস্থিত এই করিডোর। এই সরু রাস্তা দিয়ে দুই দেশের নাগরিকরা চলাচল করেন। এছাড়াও রাস্তার মাঝখানে দায়িত্ব পালন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।

১৯৭৪-এর মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি অনুযায়ী হস্তান্তর করা তিনবিঘা করিডোরের আয়তন হওয়ার কথা ছিল দৈর্ঘ্যে ১৭৮ মিটার এবং প্রস্থে ৮৫ মিটার। অথচ সাবেক ছিটমহলবাসী ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে মাত্র ৯ ফিট একটি সরু রাস্তা। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগসহ নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে প্রায় ২২ হাজার দহগ্রামবাসীকে।

এছাড়াও বিএসএফ চেকপোস্ট, সিসিক্যামেরা, ট্রাফিকপোস্ট, অবজারভেশন টাওয়ার প্রভৃতির সমন্বয়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতাবাসীকে যাতায়াত করতে হয় তিনবিঘা করিডোরের ওপর দিয়ে। বর্তমান ৯ ফুটের রাস্তায় চার ও ছয় চাকার গাড়ি প্রবেশ করলে সব ধরনের যানবাহনকে অপেক্ষা করতে হয় পানবাড়ী বা দহগ্রাম পোস্টে।

গাড়ি ক্রস করার পর অপেক্ষমাণ যানবাহন যাওয়া-আসা শুরু করে। করিডোরের দুই ধারে লাইটপোস্ট ও ফুলের টব লাগানোর ফলে করিডোরটি ৯-১০ ফুটে পরিণত হয়েছে। এতে অনেক সময় গাড়ির বাম্পার কিংবা পরিবহনকৃত পণ্যের ধাক্কায় ভারতীয় স্থাপনার কোনো ক্ষতি হলে বাংলাদেশিদের নানারকম হয়রানিসহ গুনতে হয় জরিমানা।

২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-ভারত সরকারের একটি চুক্তি অনুযায়ী বর্তমানে করিডোরটি ২৪ ঘণ্টাই উন্মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর করিডোরটি উন্মুক্ত ঘোষণা করা হলেও এখনো ভারতীয়দের দখলে রয়েছে তিনবিঘা করিডোরের গেটটি।

তিনবিঘা করিডোর চুক্তির শর্ত মানছে না ভারত সরকার

প্রকাশ: ০৪:১৫:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দহগ্রাম আঙ্গরপোতা ছিটমহলের ২২ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ তিনবিঘা করিডোর। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে যাতায়াতের সুবিধার্থে এটি বাংলাদেশকে ইজারার মাধ্যমে দেয় ভারত।

দুদেশের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী করিডোরটি ২৪ ঘণ্টাই উন্মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও এখনো ভারতীয়দের দখলে রয়েছে করিডোর। চুক্তির শর্ত মানছে না ভারত সরকার।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মেঘলিগঞ্জ মহকুমা ও বাংলাদেশের লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত এটি। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী স্বতন্ত্র ভূমি যা ভারতের মালিকানাধীন।

মাত্র তিনবিঘা জায়গার মধ্যে অবস্থিত এই করিডোর। এই সরু রাস্তা দিয়ে দুই দেশের নাগরিকরা চলাচল করেন। এছাড়াও রাস্তার মাঝখানে দায়িত্ব পালন করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।

১৯৭৪-এর মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি অনুযায়ী হস্তান্তর করা তিনবিঘা করিডোরের আয়তন হওয়ার কথা ছিল দৈর্ঘ্যে ১৭৮ মিটার এবং প্রস্থে ৮৫ মিটার। অথচ সাবেক ছিটমহলবাসী ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে মাত্র ৯ ফিট একটি সরু রাস্তা। ফলে সীমাহীন দুর্ভোগসহ নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে প্রায় ২২ হাজার দহগ্রামবাসীকে।

এছাড়াও বিএসএফ চেকপোস্ট, সিসিক্যামেরা, ট্রাফিকপোস্ট, অবজারভেশন টাওয়ার প্রভৃতির সমন্বয়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দহগ্রাম-আঙ্গরপোতাবাসীকে যাতায়াত করতে হয় তিনবিঘা করিডোরের ওপর দিয়ে। বর্তমান ৯ ফুটের রাস্তায় চার ও ছয় চাকার গাড়ি প্রবেশ করলে সব ধরনের যানবাহনকে অপেক্ষা করতে হয় পানবাড়ী বা দহগ্রাম পোস্টে।

গাড়ি ক্রস করার পর অপেক্ষমাণ যানবাহন যাওয়া-আসা শুরু করে। করিডোরের দুই ধারে লাইটপোস্ট ও ফুলের টব লাগানোর ফলে করিডোরটি ৯-১০ ফুটে পরিণত হয়েছে। এতে অনেক সময় গাড়ির বাম্পার কিংবা পরিবহনকৃত পণ্যের ধাক্কায় ভারতীয় স্থাপনার কোনো ক্ষতি হলে বাংলাদেশিদের নানারকম হয়রানিসহ গুনতে হয় জরিমানা।

২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-ভারত সরকারের একটি চুক্তি অনুযায়ী বর্তমানে করিডোরটি ২৪ ঘণ্টাই উন্মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ২০১১ সালের ১৯ অক্টোবর করিডোরটি উন্মুক্ত ঘোষণা করা হলেও এখনো ভারতীয়দের দখলে রয়েছে তিনবিঘা করিডোরের গেটটি।