বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ধানমন্ডি ৩২ ও সুধা সদনে আগুন দেয় বুধবার রাত ১১টার দিকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার জন্য বঙ্গভবনের চতুর্পাশে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ধানমন্ডি ৩২ ও সুধাসদন খালি ছিল।
বুধবার শেখ-হাসিনার বক্তৃতা ইস্যুতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ছাত্র-জনতা, পরে তারা প্রথমে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়িতে আগুন দেয় ও পরে শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, যারা ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল সেসব ফ্যাসি-বাদীদের কোনো চিহ্ন বাংলাদেশের মাটিতে আর রাখতে চাই না। শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরৎ এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে বাংলার মাটিতে তাদের কোনো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না ।
এর আগে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল অধিবেশনে যোগদানের ঘোষণা দেন। এর প্রতিবাদে বুধবার রাত ৯টার দিকে ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স।
এছাড়াও সন্ধ্যায় ছাত্র-জনতা আন্দোলন নামে ফেসবুকে বিভিন্ন পেজে কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে পোস্ট করা হয়।