হাবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবন অবরোধ

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৫:৪৩:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৪০ বার পঠিত হয়েছে

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ছাত্র সংসদ নির্বাচনসহ ৯ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো বাস্তবায়নের লিখিত আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবন ত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছে তারা।

সোমবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ‘ক্রেডিট ফি কমাতে হবে, হাকসু নির্বাচন দিতে হবে’‘দিয়ে দাও’, ছাত্রলীগ নেতাদের অবৈধ নিয়োগ বাতিল চাই’ ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি

১. এক মাসের মধ্যে ছাত্র সংসদের নীতিমালা প্রণয়ন করে সময়সূচি ঘোষণা করতে হবে।

২. ক্রেডিট ফি ৭৫-৮০ টাকা করে নোটিশ জারি করতে হবে।

৩. সেশনজট নিরসনে একাডেমিক রোডম্যাপ দিতে হবে এবং বাস্তবায়নের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

৪. লাইব্রেরির মুজিব কর্নারকে জব কর্নার করে চাকরির বিভিন্ন বই দিতে হবে।

৫. আগামীকাল থেকে গোপালগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস স্টপেজ করতে হবে।

৬. হামলাকারীদের বিচার আগামী সাত দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে।

৭. এক মাসের মধ্যে টিএসসি থেকে ব্যাংক অপসারণ করতে হবে।

৮. অবৈধ নিয়োগ বাতিলের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

৯. শিক্ষক ও ক্লাসরুম সংকট দূরীকরণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

পরবর্তীতে দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিআইপি কনফারেন্স রুমে শিক্ষার্থীদের সাথে উপাচার্যের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তারা নির্দিষ্ট সময় জানতে চান এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তোফাজ্জল হোসেন তপু বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে দেখছি জুলাই আন্দোলনে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। শিক্ষার্থীবান্ধব বিভিন্ন দাবি-দাওয়া গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু হাবিপ্রবিতে বিপরীত। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা আমাদের দাবি আদায় করেই মাঠ ছাড়ব।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক ড. এস এম এমদাদুল হাসান বলেন, ‘এই দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মানউন্নয়নের লক্ষ্যেই সম্পৃক্ত। আমরা যতদ্রুত সম্ভব এই দাবিগুলো সমাধান করে বিশ্ববিদ্যালয়কে কাঙ্ক্ষিত মানে নিয়ে যাব।’

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নে লিখিত রোডম্যাপ না আসা পর্যন্ত তারা প্রশাসনিক ভবন ত্যাগ করবেন না।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

হাবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবন অবরোধ

প্রকাশ: ০৫:৪৩:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ছাত্র সংসদ নির্বাচনসহ ৯ দফা দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো বাস্তবায়নের লিখিত আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবন ত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছে তারা।

সোমবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ‘ক্রেডিট ফি কমাতে হবে, হাকসু নির্বাচন দিতে হবে’‘দিয়ে দাও’, ছাত্রলীগ নেতাদের অবৈধ নিয়োগ বাতিল চাই’ ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি

১. এক মাসের মধ্যে ছাত্র সংসদের নীতিমালা প্রণয়ন করে সময়সূচি ঘোষণা করতে হবে।

২. ক্রেডিট ফি ৭৫-৮০ টাকা করে নোটিশ জারি করতে হবে।

৩. সেশনজট নিরসনে একাডেমিক রোডম্যাপ দিতে হবে এবং বাস্তবায়নের জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

৪. লাইব্রেরির মুজিব কর্নারকে জব কর্নার করে চাকরির বিভিন্ন বই দিতে হবে।

৫. আগামীকাল থেকে গোপালগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস স্টপেজ করতে হবে।

৬. হামলাকারীদের বিচার আগামী সাত দিনের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে।

৭. এক মাসের মধ্যে টিএসসি থেকে ব্যাংক অপসারণ করতে হবে।

৮. অবৈধ নিয়োগ বাতিলের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

৯. শিক্ষক ও ক্লাসরুম সংকট দূরীকরণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

পরবর্তীতে দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিআইপি কনফারেন্স রুমে শিক্ষার্থীদের সাথে উপাচার্যের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তারা নির্দিষ্ট সময় জানতে চান এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তোফাজ্জল হোসেন তপু বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে দেখছি জুলাই আন্দোলনে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। শিক্ষার্থীবান্ধব বিভিন্ন দাবি-দাওয়া গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু হাবিপ্রবিতে বিপরীত। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা আমাদের দাবি আদায় করেই মাঠ ছাড়ব।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক ড. এস এম এমদাদুল হাসান বলেন, ‘এই দাবিগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মানউন্নয়নের লক্ষ্যেই সম্পৃক্ত। আমরা যতদ্রুত সম্ভব এই দাবিগুলো সমাধান করে বিশ্ববিদ্যালয়কে কাঙ্ক্ষিত মানে নিয়ে যাব।’

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নে লিখিত রোডম্যাপ না আসা পর্যন্ত তারা প্রশাসনিক ভবন ত্যাগ করবেন না।