প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০১:৫১:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৫৮ বার পঠিত হয়েছে

দুবছরের বেশি সময় দেশের অর্থনীতিতে সংকট চলছে। অর্থের অভাবে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও স্থবির হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ ঠিকাদারই কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ইতিহাসে সর্বনিম্ন, মাত্র ১৮ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ২২ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়েও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। এ কার্যালয়ের মোট বরাদ্দের মধ্যে খরচ হয়েছে মাত্র ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থছাড় কমিয়ে দিয়েছে। চলছে প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প যাচাই-বাছাই। যার প্রভাব পড়েছে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নেও। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস জুলাই-ডিসেম্বরে গত ৭ অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অর্থছাড় হয়েছে এবং গত এক যুগের মধ্যে সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের এডিপি থেকে সরকার বড় ধরনের কাটছাঁট করতে চায়, তারই প্রভাব পড়েছে এডিপি বাস্তবায়নে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও কাটছাঁটের প্রভাব পড়েনি বড় বরাদ্দ পাওয়া এলজিইডি ও বিদ্যুতে। বরাবরের মতোই উন্নয়নে পিছিয়ে রয়েছে জনগুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত।

গতকাল মঙ্গলবার জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসের এডিপি বাস্তবায়নের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি)।

তাতে দেখা যায়, ৬ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ১৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এরচেয়ে কম এডিপি বাস্তবায়নের তথ্য সংস্থাটির ওয়েবসাইটে নেই। সে আলোকে গত এক যুগে এত কম এডিপি বাস্তবায়ন হয়নি। এদিকে ৬ মাসে ৫০ হাজার ২ কোটি টাকা অর্থছাড় হয়েছে, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের পর সর্বনিম্ন। গত অর্থবছরে ৬১ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা ছাড় হয়েছিল এ সময়ে। শুধু গত ডিসেম্বরে অর্থছাড় হয়েছে ১৫ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। যেখানে আগের অর্থবছরের ডিসেম্বরে ছাড় হয়েছিল ১৪ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) থেকে ৪৯ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট হচ্ছে। এর মধ্যে সরকারের অংশ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা ও বৈদেশিক বরাদ্দ থেকে ১৯ হাজার কোটি টাকা। তাই বেশি প্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলোতে অর্থছাড় করা হচ্ছে। প্রকল্পের অগ্রাধিকার যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অনেক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প মাঝপথে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে এডিপির আকার ধরা হয় ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। এ কার্যালয়ে ১৫ উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ রয়েছে ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। ছয় মাসে এ ১৫ প্রকল্পে খরচ হয়েছে মাত্র ৩২২ কোটি টাকার কিছু বেশি। সে হিসেবে মোট বরাদ্দের ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ খরচ করতে পেরেছে গুরুত্বপূর্ণ এ বিভাগ। অথচ গত বছরের একই সময়ে সরকারের এ বিভাগের উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন ছিল ২৩ শতাংশের বেশি। এর আগের অর্থবছর অর্থাৎ ২০২২-২৩-এর একই সময়ে এ কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন ছিল প্রায় ২৮ শতাংশ।

আইএমইডির সাবেক সচিব আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থছাড় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোন প্রকল্পটি বেশি প্রয়োজনীয়, কোনটির প্রয়োজনীয়তা কম, তা যাচাই-বাছাই চলছে। প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের অর্থনীতি সংকটের মধ্যে আছে। রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হচ্ছে। ফলে সরকারকে ব্যয় কমাতে হবে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে অপচয়মূলক ব্যয় কমানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে অন্তর্বতী সরকারের সামনে খরচ কমানোর বড় জায়গা হচ্ছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)।

পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন বর্তমানে শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাদ দিয়ে এডিপি বড় ধরনের কাটছাঁট করলে তেমন কোনো অর্থের অপচয় হবে না। চলতি অর্থবছরে এডিপির আওতায় এক হাজার ৩২৬টি প্রকল্প আছে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, রাজনৈতিক বা প্রশ্নবিদ্ধ প্রকল্পগুলো পুনরায় বিবেচনা করা উচিত। কারণ সরকার আর্থিক সংকটে আছে, রাজস্ব আদায়েও ঘাটতি রয়েছে। সরকারকে ব্যয় কমাতে হবে। ব্যয় কমানোর বড় জায়গা এডিপি। প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় বরাদ্দ দিতে হবে। কারণ এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন অনেক এগিয়েছে। যেসব মেগা প্রকল্পের অগ্রগতি ভালো, সেগুলো শেষ করা ভালো হবে। তবে যেসব মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি বা প্রাথমিক ধাপে আছে, সেগুলো বাদ দেওয়া ভালো হবে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে সবচেয়ে বেশি ১০ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা অর্থ খরচ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ৯ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা ব্যয় করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এরপর সড়ক-মহাসড়ক বিভাগ খরচ করেছে ৪ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খরচ করছে দুই হাজার ২১১ কোটি টাকা। মাত্র ৭ কোটি টাকা খরচ করেছে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ আর ৫৪৮ কোটি টাকা খরচ করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।

শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তব্যে বিক্ষিপ্ত ছাত্র-জনতার তোপে নিরাপত্তায় বঙ্গভবন

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা

প্রকাশ: ০১:৫১:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

দুবছরের বেশি সময় দেশের অর্থনীতিতে সংকট চলছে। অর্থের অভাবে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও স্থবির হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ ঠিকাদারই কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ইতিহাসে সর্বনিম্ন, মাত্র ১৮ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ২২ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়েও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। এ কার্যালয়ের মোট বরাদ্দের মধ্যে খরচ হয়েছে মাত্র ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থছাড় কমিয়ে দিয়েছে। চলছে প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প যাচাই-বাছাই। যার প্রভাব পড়েছে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নেও। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস জুলাই-ডিসেম্বরে গত ৭ অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অর্থছাড় হয়েছে এবং গত এক যুগের মধ্যে সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের এডিপি থেকে সরকার বড় ধরনের কাটছাঁট করতে চায়, তারই প্রভাব পড়েছে এডিপি বাস্তবায়নে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও কাটছাঁটের প্রভাব পড়েনি বড় বরাদ্দ পাওয়া এলজিইডি ও বিদ্যুতে। বরাবরের মতোই উন্নয়নে পিছিয়ে রয়েছে জনগুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত।

গতকাল মঙ্গলবার জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬ মাসের এডিপি বাস্তবায়নের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি)।

তাতে দেখা যায়, ৬ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ১৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এরচেয়ে কম এডিপি বাস্তবায়নের তথ্য সংস্থাটির ওয়েবসাইটে নেই। সে আলোকে গত এক যুগে এত কম এডিপি বাস্তবায়ন হয়নি। এদিকে ৬ মাসে ৫০ হাজার ২ কোটি টাকা অর্থছাড় হয়েছে, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের পর সর্বনিম্ন। গত অর্থবছরে ৬১ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা ছাড় হয়েছিল এ সময়ে। শুধু গত ডিসেম্বরে অর্থছাড় হয়েছে ১৫ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। যেখানে আগের অর্থবছরের ডিসেম্বরে ছাড় হয়েছিল ১৪ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) থেকে ৪৯ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট হচ্ছে। এর মধ্যে সরকারের অংশ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা ও বৈদেশিক বরাদ্দ থেকে ১৯ হাজার কোটি টাকা। তাই বেশি প্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলোতে অর্থছাড় করা হচ্ছে। প্রকল্পের অগ্রাধিকার যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। অনেক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প মাঝপথে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে এডিপির আকার ধরা হয় ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। এ কার্যালয়ে ১৫ উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ রয়েছে ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। ছয় মাসে এ ১৫ প্রকল্পে খরচ হয়েছে মাত্র ৩২২ কোটি টাকার কিছু বেশি। সে হিসেবে মোট বরাদ্দের ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ খরচ করতে পেরেছে গুরুত্বপূর্ণ এ বিভাগ। অথচ গত বছরের একই সময়ে সরকারের এ বিভাগের উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন ছিল ২৩ শতাংশের বেশি। এর আগের অর্থবছর অর্থাৎ ২০২২-২৩-এর একই সময়ে এ কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন ছিল প্রায় ২৮ শতাংশ।

আইএমইডির সাবেক সচিব আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থছাড় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোন প্রকল্পটি বেশি প্রয়োজনীয়, কোনটির প্রয়োজনীয়তা কম, তা যাচাই-বাছাই চলছে। প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশের অর্থনীতি সংকটের মধ্যে আছে। রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হচ্ছে। ফলে সরকারকে ব্যয় কমাতে হবে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে অপচয়মূলক ব্যয় কমানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে অন্তর্বতী সরকারের সামনে খরচ কমানোর বড় জায়গা হচ্ছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)।

পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন বর্তমানে শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাদ দিয়ে এডিপি বড় ধরনের কাটছাঁট করলে তেমন কোনো অর্থের অপচয় হবে না। চলতি অর্থবছরে এডিপির আওতায় এক হাজার ৩২৬টি প্রকল্প আছে।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, রাজনৈতিক বা প্রশ্নবিদ্ধ প্রকল্পগুলো পুনরায় বিবেচনা করা উচিত। কারণ সরকার আর্থিক সংকটে আছে, রাজস্ব আদায়েও ঘাটতি রয়েছে। সরকারকে ব্যয় কমাতে হবে। ব্যয় কমানোর বড় জায়গা এডিপি। প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় বরাদ্দ দিতে হবে। কারণ এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন অনেক এগিয়েছে। যেসব মেগা প্রকল্পের অগ্রগতি ভালো, সেগুলো শেষ করা ভালো হবে। তবে যেসব মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি বা প্রাথমিক ধাপে আছে, সেগুলো বাদ দেওয়া ভালো হবে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে সবচেয়ে বেশি ১০ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা অর্থ খরচ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ৯ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা ব্যয় করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এরপর সড়ক-মহাসড়ক বিভাগ খরচ করেছে ৪ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খরচ করছে দুই হাজার ২১১ কোটি টাকা। মাত্র ৭ কোটি টাকা খরচ করেছে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ আর ৫৪৮ কোটি টাকা খরচ করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।