মোংলায় গেইটম্যানের অবহেলায় ট্রেনে কাটা পড়ল শিশু মরিয়ম

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ০৮:১৩:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫
  • ১০৪ বার পঠিত হয়েছে

বাগেরহাটের মোংলায় চলন্ত ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মরিয়ম (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

১২ জানুয়ারি রবিবার মোংলা-খুলনা রেললাইনের দিগরাজ বাজার পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই পয়েন্টের গেইটম্যান সময়মতো রেলগেট না ফেলার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা।

ট্রেনটি চলে গেলে শিশুটিকে উদ্ধার করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। হাসপাতালে নেয়ার পূর্বেই শিশুটি মারা যান বলে জানিয়েছেন বন্দর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ মোঃ শামীম হাসান।

বাগেরহাট মোংলা ট্রেন দুর্ঘটনা

প্রত্যাক্ষদর্শী ডি এল মল্লিক দৈনিক টার্গেটকে জানান, মোংলা থেকে ছেড়ে আসা খুলনার একটি লোকাল বাসে করে দুটি বাচ্চা নিয়ে যাচ্ছিলেন এক মহিলা। এসময় রেলক্রসিং এলাকায় জ্যাম পড়ে বাসটি আটকে যায়। হঠাৎ খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মোংলা কমিউটার নামে ট্রেনটি দ্রুত গতিতে রেলক্রসিং পার হচ্ছিল। জীবন বাঁচানোর তাগিদে দ্রুত ওই মহিলা যাত্রীবাহী গাড়ি থেকে বাচ্চা নিয়ে নেমে যায়। কিন্তু মহিলার হাতে ধরা বাচ্চাটি ছুটে গিয়ে মোংলা কমিউটারের নিচে পড়ে। দায়িত্বরত লাইনম্যান রেলগেইট না ফেলার কারণে এই দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

নিহত শিশুর মা ফাতেমা বেগম জানান, দুই সন্তানকে নিয়ে মোংলা থেকে যাত্রীবাহী বাসে করে বাগেরহাট যাচ্ছিলেন তিনি। পথিমধ্যে দিগরাজের রেলক্রসিংয়ে বাসটি পৌঁছালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মোংলা কমিউটার নামক ট্রেনটি দ্রুত গতিতে রেলক্রসিং পার হচ্ছিল। এসময় যাত্রীবাহী বাস থেকে দ্রুত নামতে গিয়ে তার কোল থেকে শিশু মরিয়ম ছিটকে ট্রেনের নিচে পড়ে।

এ ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই দায়িত্বে অবহেলার কারণে দিগরাজের রেলক্রসিংয়ে দায়িত্বে থাকা গেইটম্যান মোঃ শাহিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন বিক্ষুদ্ধ জনতা। এসময় মোংলা-খুলনা মহাসড়কে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ করে দেয় তারা। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করলে সড়কে আবার যান চলাচল শুরু হয়। ঘটনার পর থেকেই গেইটম্যান শাহীন পলাতক রয়েছেন। তার বাড়ি নাটোর জেলায় বলে জানা গেছে।

মোংলা রেল স্টেশনের টিকিট মাস্টার মোঃ শরিফুর রহমান জানান, গেইটম্যান কেনো ছিল না, এ জন্য গেইটম্যানকে অলরেডি বুক আপ করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাকে চাকরিচ্যুত করা হবে। নিহত শিশুর পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে মোংলা থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান, দায়িত্ব অবহেলার কারণে গেইটম্যান মোঃ শাহিনের বিরুদ্ধে রেল পুলিশ ব্যবস্থা নিবে এবং এ ঘটনায় মামলার গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

ছাত্র-জনতার বুলডোজারে গুঁড়িয়ে গেল ‘হাসিনার দ্বিতীয় কেবলা’

মোংলায় গেইটম্যানের অবহেলায় ট্রেনে কাটা পড়ল শিশু মরিয়ম

প্রকাশ: ০৮:১৩:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫

বাগেরহাটের মোংলায় চলন্ত ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মরিয়ম (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

১২ জানুয়ারি রবিবার মোংলা-খুলনা রেললাইনের দিগরাজ বাজার পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই পয়েন্টের গেইটম্যান সময়মতো রেলগেট না ফেলার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা।

ট্রেনটি চলে গেলে শিশুটিকে উদ্ধার করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। হাসপাতালে নেয়ার পূর্বেই শিশুটি মারা যান বলে জানিয়েছেন বন্দর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ মোঃ শামীম হাসান।

বাগেরহাট মোংলা ট্রেন দুর্ঘটনা

প্রত্যাক্ষদর্শী ডি এল মল্লিক দৈনিক টার্গেটকে জানান, মোংলা থেকে ছেড়ে আসা খুলনার একটি লোকাল বাসে করে দুটি বাচ্চা নিয়ে যাচ্ছিলেন এক মহিলা। এসময় রেলক্রসিং এলাকায় জ্যাম পড়ে বাসটি আটকে যায়। হঠাৎ খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মোংলা কমিউটার নামে ট্রেনটি দ্রুত গতিতে রেলক্রসিং পার হচ্ছিল। জীবন বাঁচানোর তাগিদে দ্রুত ওই মহিলা যাত্রীবাহী গাড়ি থেকে বাচ্চা নিয়ে নেমে যায়। কিন্তু মহিলার হাতে ধরা বাচ্চাটি ছুটে গিয়ে মোংলা কমিউটারের নিচে পড়ে। দায়িত্বরত লাইনম্যান রেলগেইট না ফেলার কারণে এই দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

নিহত শিশুর মা ফাতেমা বেগম জানান, দুই সন্তানকে নিয়ে মোংলা থেকে যাত্রীবাহী বাসে করে বাগেরহাট যাচ্ছিলেন তিনি। পথিমধ্যে দিগরাজের রেলক্রসিংয়ে বাসটি পৌঁছালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা মোংলা কমিউটার নামক ট্রেনটি দ্রুত গতিতে রেলক্রসিং পার হচ্ছিল। এসময় যাত্রীবাহী বাস থেকে দ্রুত নামতে গিয়ে তার কোল থেকে শিশু মরিয়ম ছিটকে ট্রেনের নিচে পড়ে।

এ ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই দায়িত্বে অবহেলার কারণে দিগরাজের রেলক্রসিংয়ে দায়িত্বে থাকা গেইটম্যান মোঃ শাহিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেন বিক্ষুদ্ধ জনতা। এসময় মোংলা-খুলনা মহাসড়কে সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ করে দেয় তারা। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করলে সড়কে আবার যান চলাচল শুরু হয়। ঘটনার পর থেকেই গেইটম্যান শাহীন পলাতক রয়েছেন। তার বাড়ি নাটোর জেলায় বলে জানা গেছে।

মোংলা রেল স্টেশনের টিকিট মাস্টার মোঃ শরিফুর রহমান জানান, গেইটম্যান কেনো ছিল না, এ জন্য গেইটম্যানকে অলরেডি বুক আপ করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাকে চাকরিচ্যুত করা হবে। নিহত শিশুর পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে মোংলা থানার ওসি আনিসুর রহমান জানান, দায়িত্ব অবহেলার কারণে গেইটম্যান মোঃ শাহিনের বিরুদ্ধে রেল পুলিশ ব্যবস্থা নিবে এবং এ ঘটনায় মামলার গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।