কোনো দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনাররা সাধারণত দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এমনকি তারা অবসরে যাওয়ার পরও সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখেন, কাজ করেন যোগাযোগের সেতুবন্ধ হিসেবে।
যে দেশে তারা রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন, মাঝে মাঝে সেখানকার সংকট-সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন, লেখেন প্রবন্ধ। তাতে ওই দেশের প্রতি তাদের সহমর্মিতাই ফুটে ওঠে। লেখা-বলায় সর্বতোভাবে বস্তুনিষ্ঠ থাকেন তারা। এসবই কূটনীতির অতি স্বাভাবিক বিষয়। তবে কূটনৈতিক এই শিষ্টাচারকে থোরাই কেয়ার করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনাররা।
তারা দায়িত্ব পালনকালেই নিজেদের জাহির করেন ভাইসরয় হিসেবে। তাই দেখা যায়, মন্ত্রীর সামনে পা তুলে বসেন। কিংবা বাংলাদেশের খ্যাতিমানদের ‘তথাকথিত বিশেষজ্ঞ’ বলে কটাক্ষ করে থাকেন অবলীলায়। জুলাই বিপ্লবে ভারতের পুতুলখ্যাত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পতন হলে এ দেশে বিভিন্ন সময় দায়িত্ব পালন করা ভারতীয় কূটনীতিকরা লাগামছাড়া মিথ্যাচার শুরু করেন। একজন কূটনীতিক দাবি করেছেন, এ দেশের ওপর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এ দেশ এখন চালায় ইসলামি গোষ্ঠীগুলো। বাংলাদেশে চলছে পাকিস্তানি প্লেবুক। আরেকজনকে রীতিমতো ধমক দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ আগুন নিয়ে খেলছে।
বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ দেশকে তারা মর্যাদার চোখে দেখেন না বলেই এ ধরনের মন্তব্য করতে পারেন। এ ব্যাপারে আমরা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়ালের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, তারা বেছে বেছে বাংলাদেশবিরোধী কূটনীতিকদেরই শুধু ঢাকায় পাঠান কি না? এর কোনো জবাব দেননি তিনি।
বাংলাদেশ বিরোধী বক্তব্য নিয়ে এখন সবচেয়ে সরব সাবেক হাইকমিশনার বীণা সিক্রি। তবে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে তিনি দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতেন।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত ‘নির্যাতনের’ প্রতিবাদে গত ১০ ডিসেম্বর দিল্লিতে একটি সমাবেশের আয়োজন করে দেশটির কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)। বিবিসি জানায়, সেখানে হুমকি দিয়ে বলা হয়, ‘ভারতের হিন্দুরা বেশি দিন এটা (কথিত নির্যাতন) সহ্য করবে না এবং ‘বসে বসে দেখবে না’। বলা হয়, ‘একজন সন্ন্যাসীকে (ইসকন নেতা চিন্ময় দাস) জেলে পোরার ধৃষ্টতা তোমরা দেখিয়েছ, এর শাস্তি তোমাদের পেতেই হবে।’
সমাবেশে বারবার ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যের কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে ‘ভারতমাতা কি জয়’ এবং ‘অখণ্ড ভারত’-এর নামে জয়ধ্বনি দেওয়া হয় বলে জানায় বিবিসি। এটা সবারই জানা যে, হিন্দুত্ববাদীদের ‘অখণ্ড ভারত’ স্লোগান সরাসরি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর হুমকি।
সমাবেশে বক্তৃতায় বীণা সিক্রি বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের জীবনের ওপর ভয়াবহ ও স্থায়ী হামলা চলছে। তাদের জীবন, ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।’
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণায় অনেক দিন ধরেই তিনি সরব। গত ৯ ডিসেম্বর ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, “বাংলাদেশের ওপর সত্যিই কোনো নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নেই ড. মুহাম্মদ ইউনূসের। বাংলাদেশ চালাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী, হিযবুত তাহরীরসহ ইসলামী গোষ্ঠীগুলো। তারাই এখন সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। শুধু হিন্দু নয়, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, এমনকি শিয়া ও আহমদিয়াদের ওপরও হামলা চলছে। বাংলাদেশে এখন ‘পাকিস্তানের প্লেবুক’ চলছে বলেও দাবি করেন তিনি।’’
গত জানুয়ারিতে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ডামি নির্বাচনের পর বীণা সিক্রি রাশিয়ার গণমাধ্যম আরটিকে বলেছিলেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও তাতে নাকি ফলাফলের বৈধতার কোনো ক্ষতি হবে না। অবিস্মরণীয় জুলাই বিপ্লবকে তিনি ভারতের জন্য উদ্বেগজনক বিষয় বলে মন্তব্য করেন। তার দাবি, এই বিপ্লবের পেছনে চীন ও পাকিস্তানের হাত আছে। বীণা সিক্রি ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন।
পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী
ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী আরেক কাঠি সরেস। তিনি ঢাকায় বসেই বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালাতেন। একবার তিনি মন্তব্য করেন, প্রতি বছর ২৫ হাজার বাংলাদেশি ভারত গিয়ে আর ফিরে আসে না। এ মন্তব্য এতটাই অসত্য ছিল যে, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদও এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায়।
বাংলাদেশে গত ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের আগে ‘ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণেই ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে কার্যত গা ঢাকা দিতে হয়েছিল’ বলে মন্তব্য করেন পিনাক। তবে মার্কিন প্রশাসন এই বক্তব্য সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে।
২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত পিনাক রঞ্জন ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই সময়কালের মধ্যেই বাংলাদেশে সেনা-সমর্থিত ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসন ছিল। তখন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন প্রণব মুখার্জি। মনে করা হয়, সেই সেনা-সমর্থিত সরকার ছিল ভারতের আশীর্বাদপুষ্ট।
ঢাকায় হাইকমিশনার থাকাকালেই পিনাকের বহু মন্তব্য বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। ২০০৯ সালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা-সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বাংলাদেশের পানি বিশেষজ্ঞদের ‘সো কল্ড ওয়াটার স্পেশালিস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেন। হাসিনার সেসময়কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির উপস্থিতিতেই তিনি এই অবমাননাকর মন্তব্য করেন। বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তখন পিনাককে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি ওঠে।
কূটনীতিকের চাকরি থেকে অবসরের পর ভারতের রক্ষণশীল থিংকট্যাংক অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ফেলো হিসেবে সক্রিয় রয়েছেন পিনাক রঞ্জন। সেখানে তিনি বাংলাদেশ ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে সবসময়ই আওয়ামী লীগের পক্ষ নেন।
পিনাক ছিলেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির ঘনিষ্ঠ। আর প্রণব ছিলেন ওয়ান-ইলেভেনের সময় থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে দেশটির হস্তক্ষেপের প্রধান ব্যক্তি। তিনি তার ‘দ্য কোয়ালিশন ইয়ার্স’ বইয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে খোলাখুলি লিখেছেন। ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনাপ্রধান জেনারেল মইন ইউ আহমেদ ভারত সফরে যান। তখন প্রণব মুখার্জির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ‘দ্য কোয়ালিশন ইয়ারস’ বইয়ে প্রণব মুখার্জি লিখেছেন, ওই বৈঠকে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান তার কাছে চাকরির নিশ্চয়তা চেয়েছিলেন।
পঙ্কজ সরন
ভারতের আরও যেসব হাইকমিশনার বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন, তাদের অন্যতম পঙ্কজ সরন।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর দেশটির ইকোনমিক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ভারতের প্রতি উন্মুক্ত নীতি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্যই সুবিধাজনক। কিন্তু যদি বাংলাদেশ ভারতের জন্য তাদের দেশ বন্ধ করে দেয়, তবে তা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্যই ক্ষতিকারক হবে।’
তার দাবি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাধারণ ছাত্ররা নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং রাজনৈতিক বিরোধীরা ছিনতাই করে ধীরে ধীরে একে হাসিনা হটাও আন্দোলনে পরিণত করে।
সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, ‘ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সবসময় বিদেশি শক্তির তৎপরতা ছিল, যা ’৭১, ’৭৫ সালে শুরু হয়। সুতরাং ইতিহাসের বিভিন্ন সময়েই মার্কিনি, পাকিস্তানি, চীনা এবং অবশ্যই আমরা (ভারতীয়রা) বাংলাদেশের ভেতর তৎপরতা চালিয়েছি। এর বড় কারণ তাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বলতা এবং এটি ছোট একটি দেশ, যা বৈদেশিক প্রভাবের জন্য উন্মুক্ত। অনেক সময় বাংলাদেশিরাই বিদেশি শক্তিকে নিজেদের দেশে আহ্বান জানিয়েছে। তারা আহ্বান জানিয়েছে, ভারতীয়দের, মার্কিনিদের, চীনাদের ও পাকিস্তানিদের। সুতরাং বাংলাদেশ বিদেশি শক্তির খেলার মাঠ হওয়ার জন্য বাংলাদেশিরা দায়মুক্ত থাকতে পারে না।’
‘বাংলাদেশ আগুন নিয়ে খেলছে’ বলে মন্তব্য করে পঙ্কজ সরন সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশকে হুমকি দেন। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি তাদের কথিত অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনার দিকে দেখেন, সেখানে সব ধরনের রাজনৈতিক-অভ্যন্তরীণ-বৈদেশিক সংযোগের ছাত্ররা রয়েছে, বিএনপির সদস্য ও দলটির প্রতি সহানুভূতিশীলরা রয়েছে, জামায়াতের সদস্য ও দলটির প্রতি সহানুভূতিশীলরা রয়েছে। তারা যদি তাদের অবস্থানকে ভারতবিরোধিতা দিয়ে ব্যাখ্যা করতে চায়, তবে তারা বিপদে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে যা করা হচ্ছে, তাকে যদি ভারতকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য করা হয়, তাহলে আমার মনে হয় তারা (বাংলাদেশিরা) ভুল করছে। আমার কোনো সন্দেহ নেই যে তারা ভারতের তুলনায় নিজেদেরই বেশি ক্ষতি করছে।’
বীণা সিক্রির মতোই তার দাবি, ‘আমি নিশ্চিত নই রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান বা কাঠামোর ওপর কারও নিয়ন্ত্রণ আছে কি না।…এগুলো কোনো ভালো লক্ষণ নয়। আর আপনি যদি সন্ত্রাসের জন্য দায়ী লোকদের নিয়ে খেলতে চান, তারা আপনাকেই আঘাত করতে আসবে। আমরা ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেখেছি, তারা (বাংলাদেশ) সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ছিল। আইএসআইয়ের (পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা) মাধ্যমে (বাংলাদেশ) সরকার সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ছিল।’
২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এদেশে ভারতের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা পঙ্কজ সরনের দাবি, ‘এখন সেখানে আইনের কোনো শাসন নেই। পূর্ববর্তী প্রশাসনের সঙ্গে (হাসিনা সরকার) যদি আপনার দূরতম সম্পর্ক থাকে, আপনি যে-ই হন না কেন আপনাকে বন্দি করা হবে।’
পংকজ সরন পরোক্ষে বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থানের উসকানি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘তারা (বাংলাদেশিরা) বুঝতে পারছে পরিস্থিতি দিন দিন তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাদের নিজেদের হাতে কোনো ব্যর্থ রাষ্ট্র দেখতে চায় না, আবার এজন্য কোনো দায়ও নেবে না। সেজন্য তারা চায় কমপক্ষে আইনশৃঙ্খলা ঠিক থাকুক এবং সামরিক বাহিনীই এখন দেশটিতে একমাত্র কার্যকর প্রতিষ্ঠান। এর আগেও তারা বছরের পর বছর সামরিক স্বৈরতন্ত্রের অধীনে ছিল।’
বিশেষজ্ঞ মত
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে খ্যাতনামা রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী দৈনিক টার্গেটকে বলেন, শুধু ভারতের সাবেক কূটনীতিকরাই এ ধরনের কথা বলছেন না। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও একই কথা বলেছেন। আসলে বাংলাদেশের প্রতি তাদের শ্রদ্ধাবোধ নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পরপরই ভারতের বিশিষ্টজন যেসব নেতিবাচক কথা বলছেন, তা সম্পর্ক উন্নয়নের অন্তরায়। তাদের চিন্তাভাবনা করে কথা বলা উচিত। ভারত বলছে, তারা জনগণকেন্দ্রিক সম্পর্ক উন্নয়ন চায়। সেটা চাইলে তো এভাবে অযৌক্তিক কথা বলা উচিত নয়।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক অধ্যাপক শহীদুজ্জামান দৈনিক টার্গেটকে বলেন, ‘বীণা সিক্রি একজন উন্মাদ ও মিথ্যুক। শেখ হাসিনা ও বীণা সিক্রি একই চরিত্রের। বীণা সিক্রি ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী। তারা বিকৃত মস্তিস্কের।’
বীণা সিক্রির বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চালাবে নাকি অন্য কোনো দল, তাতে তাদের কী? তারা তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন আরএসএস নিয়ে তো কথা বলেন না। পিনাক রঞ্জনের বক্তব্যের কড়া সমলোচনা করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের টাকা খেয়ে তিনি আবোল-তাবোল বকছেন।
এই বিশ্লেষকের মত হলো, তাদের এসব অপ্রপ্রচারের ফলে তারা নিজেরাই নিজেদের বিপদ ডেকে আনছেন। এতে আমাদের উপকারই হবে। অধ্যাপক শহীদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি মেরুদণ্ডহীন না হলে বীণা সিক্রি এত কথা বলার সাহস দেখাতেন না। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো কাউন্টার প্রপাগান্ডা সেল নেই।
জবাব দেয়নি ভারত
ভারতের সাবেক কূটনীতিকদের ঢালাও বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্যের কারণ জানতে আমরা ইমেইল করেছিলাম দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়ালের কাছে। গত মঙ্গলবার ইমেইলে এ-সংক্রান্ত প্রশ্ন পাঠানো হয়। ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকেও আমাদের ইমেইলের কপি দেওয়া হয়। তবে গতকাল বুধবার রাত ৯টা পর্যন্ত এর কোনো জবাব দেননি তারা।