পাকিস্তানের হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি তালেবানের

  • দৈনিক টার্গেট
  • প্রকাশ: ১০:৩০:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ৮৬ বার পঠিত হয়েছে

আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) একাধিক সন্ত্রাসী আস্তানাকে লক্ষ করে নজিরবিহীন বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এতে শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার রাতে পাকতিকা প্রদেশের বারমাল জেলার লামানসহ সাতটি গ্রামকে লক্ষ করে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী দফায় দফায় এ হামলা চালায়। এতে কেবল লামানেই একই পরিবারের পাঁচ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন লিখেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) চারটি শিবিরকে লক্ষ করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে, যার মধ্যে একটি ব্যবহার করতেন শের জামান ওরফে মুখলিস ইয়ার, কমান্ডার আবু হামজা, টিটিপির উমর মিডিয়ার প্রধান কমান্ডার আখতার মুহাম্মদ প্রমুখ।

এদিকে আফগানি সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করছে, এ হামলায় ‘মুর্গ বাজার’ নামের একটি গ্রাম সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। বাকি গ্রামগুলোরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ চলছে। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, পাকিস্তান যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে বোমা হামলা চালিয়েছে। এছাড়া বেসামরিক মানুষ গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনা এ অঞ্চলে চলমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

টিটিপিকে দমনে খাইবার পাখতুনখোয়ায় নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। সেই অভিযান থেকে বাঁচতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আফগানিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক পাকিস্তানি নাগরিক। মার্চের পর থেকে পাকিস্তানি তালেবানদের কথিত এসব আস্তানায় এ পর্যন্ত দ্বিতীয়বার হামলা চালানো হলো। প্রথমবার পাকিস্তান জানিয়েছিল, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে সীমান্ত অঞ্চলে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা হামলা চালিয়েছে।

এদিকে পাকিস্তানের বিমান হামলার নিন্দা করে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বোমা হামলায় নারী, শিশুসহ বেসামরিক লোকদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলের শরণার্থী।

আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত এ হামলাকে গোটা আন্তর্জাতিক নীতির বিপরীতে নৃশংস কর্মকাণ্ড বলে মনে করে এবং এর তীব্র নিন্দা করে।

অন্যদিকে তালেবানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর আফগান বলেছে, তাদের ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা তাদের বৈধ অধিকার। একইসঙ্গে তারা এই হামলার নিন্দা করেছে।

আফগান ভূখণ্ডে পাকিস্তানের এই হামলার ঘটনা এমন একসময় ঘটল যখন পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশেষ করে আফগানিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিদের উপস্থিতি নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে।

তবে তালেবান বা পাকিস্তান কেউই এখন পর্যন্ত হতাহতের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

হামলায় পাকিস্তানি জেট বিমানের কথিত ব্যবহার এই অঞ্চলে উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

আবারও শুরু হয়েছে কালুরঘাট সেতুর টোল আদায়, মোটরসাইকেল চালকদের ক্ষোভ

পাকিস্তানের হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি তালেবানের

প্রকাশ: ১০:৩০:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) একাধিক সন্ত্রাসী আস্তানাকে লক্ষ করে নজিরবিহীন বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এতে শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার রাতে পাকতিকা প্রদেশের বারমাল জেলার লামানসহ সাতটি গ্রামকে লক্ষ করে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী দফায় দফায় এ হামলা চালায়। এতে কেবল লামানেই একই পরিবারের পাঁচ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন লিখেছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) চারটি শিবিরকে লক্ষ করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে, যার মধ্যে একটি ব্যবহার করতেন শের জামান ওরফে মুখলিস ইয়ার, কমান্ডার আবু হামজা, টিটিপির উমর মিডিয়ার প্রধান কমান্ডার আখতার মুহাম্মদ প্রমুখ।

এদিকে আফগানি সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করছে, এ হামলায় ‘মুর্গ বাজার’ নামের একটি গ্রাম সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। বাকি গ্রামগুলোরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের কাজ চলছে। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, পাকিস্তান যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে বোমা হামলা চালিয়েছে। এছাড়া বেসামরিক মানুষ গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনা এ অঞ্চলে চলমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

টিটিপিকে দমনে খাইবার পাখতুনখোয়ায় নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। সেই অভিযান থেকে বাঁচতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আফগানিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক পাকিস্তানি নাগরিক। মার্চের পর থেকে পাকিস্তানি তালেবানদের কথিত এসব আস্তানায় এ পর্যন্ত দ্বিতীয়বার হামলা চালানো হলো। প্রথমবার পাকিস্তান জানিয়েছিল, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে সীমান্ত অঞ্চলে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা হামলা চালিয়েছে।

এদিকে পাকিস্তানের বিমান হামলার নিন্দা করে আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বোমা হামলায় নারী, শিশুসহ বেসামরিক লোকদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলের শরণার্থী।

আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত এ হামলাকে গোটা আন্তর্জাতিক নীতির বিপরীতে নৃশংস কর্মকাণ্ড বলে মনে করে এবং এর তীব্র নিন্দা করে।

অন্যদিকে তালেবানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর আফগান বলেছে, তাদের ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা তাদের বৈধ অধিকার। একইসঙ্গে তারা এই হামলার নিন্দা করেছে।

আফগান ভূখণ্ডে পাকিস্তানের এই হামলার ঘটনা এমন একসময় ঘটল যখন পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশেষ করে আফগানিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিদের উপস্থিতি নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে।

তবে তালেবান বা পাকিস্তান কেউই এখন পর্যন্ত হতাহতের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

হামলায় পাকিস্তানি জেট বিমানের কথিত ব্যবহার এই অঞ্চলে উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।